খিচুড়ি এখন ভারতের ব্র্যান্ড ফুড। আলোচনায়, সোশ্যাল মিডিয়ায়, সব জায়গাতেই এখন সেরা আসন দখল করে বসে রয়েছে এই খাবার। কেন এত জনপ্রিয়তা পেল খিচুড়ি? পুষ্টিগুণে, স্বাদগুণে, বৈচিত্রে নাকি সারল্যে? উত্তর দিল খিচুড়ি নিজেই। খিচুড়ির হয়ে, খিচুড়ির বয়ানে ফেসবুকে খোলা চিঠি লিখলেন ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিবেকর। পড়ুন কী বললেন তিনি।
খিচুড়ি যেমন রোগীর পথ্য হিসাবে জনপ্রিয়, তেমনই এই খাবার সমান উপভোগ্যও। পেটের সমস্যা, থাইরয়েড, জ্বর, ডায়াবেটিস যে কোনও শারীরিক সমস্যায়, যে কোনও বয়সে খাওয়া যায় খিচুড়ি। এই খাবার এতটাই সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর। গরীবের পেট যেমন ভরে, তেমনই উত্সবে ভোগ হিসাবেও খিচুড়ি অনবদ্য।
খিচুড়ির সঙ্গে কখনও খাওয়া হয় বেগুনি, মাছ ভাজা, পাঁপড়। কোথাও বা আচার, দই। সঙ্গে সুগন্ধী ফোড়ন আর ঘি তো রয়েছেই। তাই যেই প্রদেশেই খাওয়া হোক না কেন, খিচুড়ি এক সম্পূর্ণ সুষম খাবার।
খিচুড়িকে ডায়টিশিয়ানরা ভবিষ্যতের খাবার বলে থাকেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সমস্যা একদিকে অপুষ্টি, অন্য দিকে ওবেসিটি। আর নিউট্রিশনিস্টরা দুই সমস্যারই সমাধান পেয়েছেন উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে। যার মধ্যে অন্যতম ডাল, দানা শস্য ও সব্জি। এই সব কিছুর মিশেলে পুষ্টিকর খিচুড়িকেই তারা মনে করছেন আদর্শ খাবার।
খিচুড়ি এমনই এক খাবার যা বানানো সবচেয়ে সহজ। আর তাই ভারতের সব প্রান্তেই খাওয়া হয় খিচুড়ি। কখনও বদলে যায় ডাল, কখনও বদলে যায় ফোড়ন, কখনও বা সঙ্গের অনুপান। সব খিচুড়িই সমান উপাদেয় ও উপকারি। খিচুড়ির মতো এত সহজ অথচ এত বৈচিত্রময় খাবার আর নেই।