কী ভাবে সামলাবেন সন্তানদের? প্রতীকী ছবি
ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া থামাতে অনেক সময়েই জেরবার হতে হয় মা-বাবাকে। আবার বাবা-মাকে লুকিয়ে দুষ্টমি করার সময়েও সহায় সেই ভাই-বোনই। তবে অম্ল-মধুর এই সম্পর্কেও অনেক সময় চিড় ধরতে পারে। তৈরি হতে পারে ঈর্ষা। ছোট থেকেই দরকার সচেতনতা।অনেক সময় বাবা-মা সন্তানদের মধ্যেকার ঝামেলা থামাতে গিয়ে বকাঝকা করেন। তাতে শিশুমনে জমতে থাকা নানা প্রশ্ন, কৌতূহল চাপা পড়ে যেতে পারে। তার জায়গা নিতে পারে ক্ষোভ, ক্রমশ রং হারাতে পারে শৈশবের উদ্দীপনা। নিজেদের অজান্তেই দুই ভাই বা দুই বোন হয়ে উঠতে পারে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।
মা-বাবার কোনও কথা যাতে সুস্থ সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়, তা মাথায় রাখতে হবে অভিভাবকদেরও। রাগের মাথায় কোন কোন কথা বললে বিগড়ে যেতে পারে পরিস্থিতি?
১) দুই সন্তানের মধ্যে যে পড়াশোনায় ভাল তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন, আর অন্য সন্তানকে বললেন তার থেকে কিছু শিখতে। এতে চাপ তৈরি হয় দুই সন্তানের মনেই।
২) অনেক সময় বড় সন্তানকে বেশি সমঝদার হওয়ার পরামর্শ দেন বাবা-মা। কিন্তু মনে রাখবেন, ছোট ভাই বা বোন এলেই কারও শৈশব শেষ হয়ে যায় না। বড় হলেও তার মানসিক বৃদ্ধি হবে নিজের মতোই।
৩) অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা কোনও সন্তানকে বলে ফেলেন তার সহোদর বা সহোদরার মতো না হতে। মনে রাখবেন কোনও সন্তান ভুল করতেই পারে। তাই বলে অন্য সন্তানের সামনে তাকে ছোট করে দেখানো সমীচীন নয়।
৪) ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু তার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বাবা-মা যেন দুই সন্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে না যান। সেটা কাম্য নয়। ছোটখাটো ঝগড়া তাদের নিজেদের মতো করে মিটিয়ে নিতে দিন। বড় সমস্যা হলে দু’পক্ষের কথা মন দিয়ে শুনুন।