কী ভাবে কমাবেন ডেটিং অ্যাংজাইটি ছবি: সংগৃহীত
মনের মানুষ খুঁজে চলেছেন, অথচ সামনাসামনি দেখা করতে গেলেই বুক দুরু দুরু করছে? ডেটে যাওয়ার আগে তৈরি হওয়া এমন মানসিক উদ্বেগকেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলে 'ডেটিং অ্যাংজাইটি'। সাম্প্রতিক কালে বহু সম্পর্কের সূচনাই হয় নেটমাধ্যমের আলাপচারিতায়। প্রাথমিক আলাপচারিতায় এগনোর পর যখন সামনাসামনি দেখা করার কথা ওঠে, তখন অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা অবলম্বন করে দেখতে পারেন সহজ কিছু কৌশল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। বেছে নিন পরিচিত কোনও জায়গা
অপরিচিত স্থানে ডেটে যাওয়ার বদলে প্রথম বার পরিচিত কোনও জায়গায় ঘুরে আসতে পারেন। পরিচিত পরিবেশ, আদবকায়দা থেকে শুরু করে পরিচিত খাবারদাবার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। যদি পরিচিত কোনও রেস্তরাঁয় যান, সেই ক্ষেত্রে খাবার অর্ডার করার উদ্যোগ নিতে পারেন নিজেই।
২। সততা থাকুক শুরুতেই
যে কোনও সম্পর্কের শুরুতেই সততা থাকা খুবই জরুরি। এই সততা কেবল বস্তুগতই হতে হবে এমনটা নয়। নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করা যেতে পারে সৎ ভাবে। অপর দিকের মানুষটিকে খোলামেলা ভাবেই জানান যে, আপনি গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেখবেন, অনেক সহজ হবে কথোপকথন।
৩। প্রস্তুতি নিন আগে থেকেই
অনেক সময় দেখা যায়, প্রথম বার ডেটে গিয়ে গুছিয়ে বলা হয় না সব কথা। গোটা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে তো আর কথাই নেই। কাজেই যদি মনে হয় কিছু বিশেষ কথা আপনার বলার বা শোনার আছে কিংবা এমন কিছু প্রসঙ্গ রয়েছে যেগুলি নিয়ে কথা বলতে আপনি সঙ্কোচ বোধ করেন, তবে আগে থেকে সেই বিষয়গুলি নিয়ে অল্প হলেও প্রস্তুতি নিন। অনেক সময় কোনও পরিচিত বিষয়ও যদি তাৎক্ষণিক ভাবে উঠে আসে, তবে তা আপনাকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিতে পারে।
৪। বর্তমানে বাঁচুন
ডেটিং সংক্রান্ত উদ্বেগের অন্যতম কারণ, অনেকেই মনে করেন প্রথম দেখাতেই মানুষের মনে একটি স্থায়ী ছাপ পড়ে। ফলে পোশাক থেকে আদবকায়দা, সব কিছুই বুঝি নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। এই ধারণা মোটেই কোনও ধ্রুব সত্য নয়। কাজেই আপনি নিজে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে যেমন, তার বাইরে অন্য কিছু সাজার বিশেষ প্রয়োজন নেই।
৫। ইতিবাচক ভাবে ভাবুন
যখন একজন মানুষকে নিয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করা হয়, তখন নেতিবাচক আশঙ্কা মাথায় আসা অসম্ভব নয়। তবে, সব কিছু যে আশানুরূপ হবেই এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারে না কেউই। কাজেই ভবিষ্যৎ নিয়ে যে ভাবনা মনের মধ্যে আসছে, সেই ভাবনায় ইতিবাচক দিকগুলিকেও দিতে হবে সমান গুরুত্ব। ভবিষ্যৎ সবসময়ই বহুমুখী। তবুও দেখা করতে চাওয়ার বিষয়টি তো আসলে একটি ইতিবাচক আশাকেই প্রশ্রয় দেওয়া। কাজেই সেই ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি দরকার ইতিবাচক ভাবনাই।