Conversations with Child

খুদের দায়িত্ববোধ বাড়বে, যে কোনও কাজে সফলও হবে, সকালে উঠে এই কথাগুলি বলে দেখুন

সন্তান রাগ করার মতো কিছু করলেও পরিস্থিতি সামলাতে হবে আপনাকেই। সেই জন্য সকালের সময়টা সন্তানের সঙ্গে কথা বলা বা নানা বিষয়ে আলোচনা করা খুব জরুরি। আর সেটা সকালে করলেই বেশি ভাল হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪০
Share:

সন্তানের দায়িত্ববোধ বাড়বে, যে কোনও কাজে সফলও হবে, শুধু সকালে এই কথাগুলি বলে দেখুন। ছবি: ফ্রিপিক।

প্রতি দিন ঘুম থেকে তুলেই সন্তানকে নানা বিষয়ে বকাবকি করেন? অভিযোগের খাতা খুলে বসেন? এমন করলে সকাল থেকেই মন তিক্ততায় ভরে যাবে। কোনও কাজেই উৎসাহ পাবে না খুদে। অনেক সময়ে বাবা-মা এমন কিছু কথা বলে বসেন, যাতে ক্ষতি হতে পারে সন্তানেরই। সন্তান রাগ করার মতো কিছু করলেও পরিস্থিতি সামলাতে হবে আপনাকেই। সেই জন্য সকালের সময়টা সন্তনের সঙ্গে কথা বলা বা নানা বিষয়ে আলোচনা করা খুব জরুরি। মনোবিদেরা বলেন, দিনভর কাজের চাপে মন ও মেজাজ একরকম থাকে না সকলের। কাজেই দিনের শেষে ধৈর্য ধরে সন্তানের সব কথা শোনা বা তাকে বোঝানোর মতো পরিস্থিতিও থাকে না বেশির ভাগ সময়েই। সেই কারণেই সকালের সময়টাই গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

কোন কোন বিষয়ে কথা বলবেন তা আগে থেকেই ভেবে নেবেন। যেমন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই জিজ্ঞাসা করুন, রাতে ঘুম ঠিক হয়েছে কি না। খুদে কোনও খারাপ স্বপ্ন দেখেছে কি না অথবা কোনও কারণে ভয়ে বা আতঙ্কে রয়েছে কি না। অনেক সময়েই ভয় বা লজ্জার কারণে সব কথা বলতে চায় না ছোটরা। এতে তাদের মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দুইই বাড়ে। সে কারণে আপনাকেই উদ্যোগী হয়ে জেনে নিতে হবে।

এর পরে জেনে নিন সারা দিনে কী কী কাজ করবে সে। স্কুলে যাওয়া থেকে বাড়ি আসা অবধি সারা দিনের রুটিন জেনে নিন। কখন সে পড়াশোনা করবে, কোন সময়ে খেলতে যাবে, কত ক্ষণ খেলবে ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ে আপনার মতামতও জানান। তা হলেই খুদে যে কোনও কাজে উৎসাহ পাবে।

Advertisement

পরীক্ষার ফল নিয়ে সন্তান যদি চিন্তায় থাকে, তা হলে সকালেই এই বিষয়ে কথা বলুন। কম নম্বর নিয়ে এলে বকাবকি নয়, বরং পরের বার ভাল করার উৎসাহ দিন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সন্তানকে বোঝাতে হবে পরীক্ষার ফল ভাল হোক বা খারাপ, তাতে আপনাদের ভালবাসায় কোনও খামতি হবে না। এতে সন্তান বুঝবে বাড়ির পরিবেশ তার জন্য নিরাপদ।

সন্তানকে সময়ানুবর্তিতা, পরিবারের নিয়ম শেখান। কেন তা শেখাচ্ছেন সেটাও ব্যাখ্যা করতে হবে। অভিভাবকের তরফে নেতিবাচক সম্বোধন, অনুৎসাহব্যঞ্জক কথা চলবে না। সকাল থেকে রাত অবধি কোন সময়ে খুদে কোন কাজটি করলে তার ভাল হবে, সেটি বুঝিয়ে দিন। একে বলে ‘অথরিটেটিভ’ অভিভাবকত্ব যা সন্তানের মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য অনুকূল।

সন্তানের প্রশংসা করুন। তার কোন কোন গুণ ভাল তা বলুন। কোনটি খারাপ তারও ব্যাখ্যা দিন। এতে সন্তান বুঝবে, ভুল করলেও তার হাত ধরে নেওয়ার মানুষ আছেন। এতে ওর মনের জোর বাড়বে, দায়িত্ববোধ আসবে।

সন্তানের সঙ্গে যে আপনি সারা ক্ষণ থাকতে পারছেন না, সে কথা খোলাখুলিই আলোচনা করুন। অনেক শিশুরই এই নিয়ে অভিমান থাকে। আপনার কাজের প্রকৃতি বা পরিস্থিতির জন্য আপনাকে পেশা এবং সংসার-সন্তানের মধ্যে সাম্য রেখে চলতে হচ্ছে। তাতে তো প্রকারান্তরে সন্তানের ভবিষ্যৎটিই সুরক্ষিত থাকছে। এই কথাটা ওকে বোঝাতে হবে। ভবিষ্যতে সে-ও কী ভাবে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে, সে পাঠও দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement