দূষণ থেকে পোষ্যকে সুরক্ষিত রাখার টিপস। ছবি: সংগৃহীত।
দূষণ দিন দিন বাড়ছে। রাস্তায় বেরোলেই যানবাহনের ধোঁয়া, ধুলোবালি। পরিবেশবিদেরা বলেন, বাতাসে দষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তা অ্যালার্জি, সংক্রমণজনিত রোগের কারণ হয়ে উঠছে। শুধু বাইরে বলে নয়, ঘরের ভিতরও কি দূষণমুক্ত? সিগারেটের ধোঁয়া, রান্নার ধোঁয়ার কারণেও ঘর দূষিত হতে পারে। এই দূষণে আমরা যতটা কষ্ট পাই, পোষ্যদেরও ততটাই কষ্ট হয়। ত্বকের সংক্রমণ, ফুসফুসের রোগ হতে পারে পোষ্যদেরও।
পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, দূষণের কবল থেকে পোষ্যদের সুরক্ষিত রাখতে কিছু নিয়ম মানতেই হবে। ঘরের ভিতরও যাতে দূষণমুক্ত থাকে, সেটাও দেখা দরকার।
কী কী নিয়ম মানবেন?
১) আপনার বাড়ির আশপাশে দূষণ যদি খুব বেশি হয়, যেমন প্রচুর গাড়ির ধোঁয়া, কলকারখানার ধোঁয়া ইত্যাদি থাকলে পোষ্যদের নিয়ে খুব বেশি বাইরে বার হবেন না। ওরা যত ধুলোর মধ্যে থাকবে, ততই অ্যালার্জি ও সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখ বাড়বে।
২) দূষণ থেকে পোষ্য কুকুরদের অনেক সময় গলায় চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। যে হেতু ওরা ভাষায় ওদের অসুবিধা প্রকাশ করতে পারে না, তাই আপনাকেই সতর্ক থাকতে হবে। পোষ্যদের আশপাশে জল রেখে দিন একটা পাত্রে। আর খেয়াল রাখুন, ওরা ঠিক মতো জল খাচ্ছে কি না।
৩) ঘরের ভিতরের পরিবেশও পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করুন। ভ্যাকিউম ক্লিনার থাকলে বাড়ির ধুলোময়লা পরিষ্কার করুন। পোষ্যের বসার বা শোওয়ার জায়গায় যাতে ধুলো না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪) যে ঘরে পোষ্যরা থাকছে, সেখানে কোনও ভাবেই বদ্ধ পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ওই ঘর। ঘরে যাতে যথেষ্ট আলো হাওয়া চলাচল করতে পারে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫) প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখুন। অ্যালো ভেরা, স্পাইডার প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্টের মতো গাছ রাখতে পারেন ঘরে। এই সব গাছ ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থ বাতাস থেকে টেনে নেয়। তবে পোষ্য থাকলে কী কী গাছ রাখতে পারবেন, সেটা জেনে নেওয়াই ভাল।
৬) পোষ্য থাকলে ঘরের ভিতর ধূমপান করার অভ্যাস ছাড়ুন। সিগারেটের ধোঁয়া পোষ্যদের জন্যও ক্ষতিকর।
৭) বাড়ির বাগানে কড়া রাসায়নিক দেওয়া কীটনাশক ব্যবহার করবেন না। এই ধরনের কীটনাশক পোষ্যদের পেটে গেলে তা থেকে তাদের জটিল রোগ হতে পারে।