ঘুমের সময় বড় ভুলেই ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে না তো? ছবি: সংগৃহীত।
একটা বয়সের পর ত্বকে বলিরেখা দেখা দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেরই কম বয়সে মুখে বলিরেখা পড়তে থাকে। অনেক কিছু করেও সেই বলিরেখা আটকানো যায় না। পরিচর্যার অভাব কিন্তু এর পিছনে বড় কারণ। অথচ যাঁর সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, ভুলটা ঠিক কোথায়। ত্বকে বলিরেখা পড়ার অন্যতম কারণ হল বালিশের ব্যবহার। শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টা কিন্তু সত্যি।
যাঁরা বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোন, তাঁদের ত্বকে বেশি মাত্রায় বলিরেখা পড়তে পারে, দ্রুত দেখা দিতে পারে বয়সের ছাপ। এমনই বলছেন চিকিৎসকেরা।
কেন এমন হয়?
১) বালিশে মুখ গুঁজে শুলে, মুখের সে দিকে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। সেই চাপেই মুখে বলিরেখা পড়তে পারে। যাঁরা মুখের কোনও একটি বিশেষ দিকে বেশির ভাগ সময় বালিশে রেখে ঘুমোন, সেই দিকে বয়সের ছাপ বেশি পড়তে থাকে, কমতে থাকে ঔজ্জ্বল্য। অন্য দিকের জেল্লা তুলনায় বেশি থাকে।
২) এ ছাড়া আরও একটি কারণ আছে। বালিশে মুখ গুঁজে শুলে বা পাশ ফিরে শোয়ার সময়ে মুখের যে অংশটি বালিশের সংস্পর্শে থাকে, সেই অংশ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে পারে। বালিশে থাকা ব্যাক্টিরিয়া মুখের ওই অংশে বাসা বাঁধতে পারে। এমন ক্ষেত্রেও মুখের ঔজ্জ্বল্য কমে যায়।
যাঁরা বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমোন, তাঁদের ত্বকে বেশি মাত্রায় বলিরেখা পড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
তবে উপায়?
চিত হয়ে শোয়া কিন্তু ঘুমোনোর সবচেয়ে ভাল ভঙ্গি। বালিশ নিয়ে শুতে হলে এই ভঙ্গিতে শুলেই সবচেয়ে ভাল। এই ভঙ্গিতে শুলে ত্বকের সব গ্রন্থি ভাল মতো অক্সিজেন পায়। রক্তসঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। এই ভাবে ঘুমোলে ত্বকে দাগছোপ পড়ে না। বালিশের তেল বা অন্যান্য ময়লাও ত্বকে লাগে না। ত্বকে চুলকানির ঝুঁকিও কম হয়। ফলে ত্বকের যত্ন নিতে হলে বালিশ নিয়ে শুতে হবে বুঝেশুনে।