ব্যক্তিবিশেষের সঙ্গ পছন্দ নয়? মনে আঘাত না দিয়েও বিনয়ের সঙ্গে এড়িয়ে যেতে পারেন ছবি: সংগৃহীত।
কর্মক্ষেত্র হোক বা পরিবার কিংবা বিয়েবাড়ি, বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু মানুষ এসে ভিড় করেন, যাঁদের সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে না। এঁদের কেউ গায়ে পড়েই কথা বলেন। কারও আবার মানসিকতা হয়তো পছন্দ হয় না। কারও স্বভাব থাকে পরনিন্দা পরচর্চা করার। এমন স্বভাবে বিরক্ত হতেই পারেন আপনি। কিন্তু সেই মানুষটিকে কী ভাবে এড়িয়ে যাবেন? অনেক সময় ভাল না লাগলেও, অতিরিক্ত কথন শুনে বিরক্ত হয়ে ভদ্রতার খাতিয়ে মিষ্টি হেসে মাথা নাড়তে হয়। ভদ্রতায় গেরোয় পড়ে সময় বরবাদ হয়। এমন সময়ে কী করনীয়?
১. "আপনার কথা শুনতে ভাল লাগছে না", বাইরের কাউকে এমনটা মুখের উপর বলা যায় না। বিশেষত, তিনি যদি বয়োজ্যেষ্ঠ হন। তার চেয়ে বরং আচরণে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন, আপনার তাড়া আছে। তাতেও যদি তিনি না বোঝেন, তা হলে মিষ্টি হেসেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তাঁকে বলতে পারেন, "এই রে! একটা জরুরি কাজ ছিল, দেরি হয়ে গেল। পরে দেখা হবে।"
২. কখনও কখনও রাস্তায় দেখা হলে পাড়ার কোনও কোনও ব্যক্তি এমন সমস্ত খোঁজখবর নিতে শুরু করেন বা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করেন, যা আপনি হয়তো এড়িয়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু, তিনিও নাছোড়বান্দা। তখন কী করবেন? শান্ত গলায় বলতে পারেন, এত দিন পর দেখা হওয়ায় খুব খুশি আপনিও। কিন্তু হাতে একদম সময় নেই। আবার কথা হবে। এটা বলেই কিন্তু হনহনিয়ে হেঁটে সেখান থেকে চলে আসতে পারেন।
৩. অনেক সময় বন্ধুদের কথাও ভাল লাগে না। কেউ কেউ দেখা হলেই নিজের সমস্যা আর দুঃখের খাতা খুলে বসেন। প্রাথমিক ভাবে বন্ধু বা সহকর্মীর কষ্টে সমব্যথী হলেও, মাত্রাতিরিক্ত নেতিবাচক কথোপকথনে এক সময় বিরক্তি এসে যায়। কিন্তু মুখের উপর তো কিছু বলা যায় না! তখন উপায় হল অন্য কথা বলে এড়িয়ে যাওয়া। বলতে পারেন, অফিসের জরুরি কাজ আছে। পরদিন ভোরে উঠে কাজ গুছিয়ে যত দ্রুত সম্ভব যেতে হবে, এখন তাই তাঁর কথা শোনা সম্ভব নয়।
৪. সামনাসামনি এক রকম। অনেকে ফোন ধরেও ছাড়তে চান না। অবান্তর কথা বলতে থাকেন। তখন ফোন কাটার জন্য অজুহাত দিতে পারেন, চার্জ একদম শেষ হয়ে গিয়েছে। কিংবা জরুরি কোনও ফোন আসছে। পরে ফোন করবেন।
৫. অনেকে সমাজমাধ্যমেও চ্যাটে বিরক্ত করেন। একটা কথার উত্তর দিলে, তিনি আরও দু’টো কথা বলেন। যদি সেই মানুষটি অপছন্দের হন বা আপনার চ্যাট করতে ইচ্ছে না করে, তা হলে প্রথমেই ভান করুন, যেন আপনি চ্যাটের বিষয়বস্ত দেখেননি। কিংবা উত্তর না দিয়ে চুপ করেও থাকতে পারেন। মৌনতা সব সময় সম্মতির লক্ষণ হয় না। চুপ করা মানে তাঁকে যে এড়িয়ে যেতে চাইছেন, তা তিনি ঠিকই বুঝতে পারবেন।