প্রেমের মতো শরীরী উদ্যাপনের ক্ষেত্রেও কোনও বাঁধাধরা মরসুম হতে পারে না। প্রতীকী ছবি।
ভালবাসার কি কোনও মরসুম হয়? ভালবাসা তো অনুভূতির উদ্যাপন। সেই উদ্যাপনের বিশেষ কোনও সময় হতে পারে না। তেমনটাই মনে করেন অনেকে। সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে ভালবাসা ছাড়াও প্রয়োজন শারীরিক ঘনিষ্ঠতা। ভালবাসায় মন এবং শরীর, দুই-ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রেমের মতো শরীরী উদ্যাপনের ক্ষেত্রেও কোনও বাঁধাধরা মরসুম হতে পারে না, অনেকেরই তেমনই মত। তবে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, গ্রীষ্মে শরীরী মিলনে একটা বাড়তি উন্মাদনা কাজ করে।
এদিকে হাওয়া অফিস বলছে, এ বছর গরমের পারদ চড়বে হু হু করে। তা হলে বাতাসের উত্তাপে কি গনগনে হবে ভালবাসার আঁচ? উষ্ণতার মরসুমেই কেন আর বেশি করে প্রিয়জনকে নিবিড় ভাবে কাছে পেতে ইচ্ছে করে? কী কারণ লুকিয়ে আছে এর নেপথ্যে?
কম ঘুম
শীতকালে এক বার ঘুমোলে বিছানা ছেড়ে সহজে উঠতে ইচ্ছে করে না। গ্রীষ্মে বিষয়টি ঠিক বিপরীত। শরীরে মেলাটোনিন নামে এক ধরনের হরমোন উৎপন্ন হয়, যা বেশি ক্ষরণ হলে সারা ক্ষণই একটা ঘুম ঘুম ভাব থাকে। কিন্তু গরমে সারা দিনে রোদের সংস্পর্শে থাকার ফলে এই হরমোন খুব কম ক্ষরণ হয়। ফলে ঝিমুনি ভাবও থাকে না। তার ফলেই শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রতি একটা আলাদা আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয়।
উদ্বেগহীন মন
মনের সঙ্গে শরীরের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। মনের কোণে যদি মেঘ জমে, শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। কিন্তু মন ভাল থাকলে সব কিছুর গতি যেন দ্বিগুণ হয়। গরমে মন ভাল রাখে গনগনে রোদ। সেরাটোনিন হরমোনের কারণে অবসাদও দূরে থাকে। ফলে মন ফুরফুরে থাকলে শরীরও চাঙ্গা থাকে। এই চনমনে আবহে শরীরী উদ্যাপনও যেন আরও মনোরম হয়ে ওঠে।