— প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি যে কোণেই আপনি যান না কেন, পোষ্য কুকুর আপনার পিছনে ধাওয়া করছে। শৌচাগারে গেলেও সেই একই কাণ্ড। এমন আহ্লাদ কখনও কখনও ভাল লাগলেও কিছু কিছু সময়ে বিরক্ত বোধ করছেন। বাড়িতে যাঁরাই আসছেন পোষ্যের এমন কীর্তি দেখে অবাকও হচ্ছেন। ভাবছেন, ছোট থেকে প্রশিক্ষকের কাছে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও এমনটা হওয়ার কারণ কী? পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, কুকুর এবং মানুষের সম্পর্কের কথা নতুন নয়। নিজের মালিক বা প্রভুর উপর তার আলাদা টান থাকবেই। বাড়ির অন্য সকলের চেয়ে তার প্রতি একটু বেশিই রক্ষণাত্মক আচরণ দেখাবে এমনটাই স্বাভাবিক। স্বভাব এবং খানিক অভ্যাসগত কারণেও পোষ্য কুকুরেরা তাদের প্রিয় মানুষটিকে এক মুহূর্তের জন্যেও কাছছাড়া করতে চায় না।
আর কী কী কারণে পোষ্যেরা এমন আচরণ করে?
১) চোখের আড়াল না করা
পোষ্য কুকুরটি চায় সব সময়ে তার পালক ব্যক্তির গা ঘেঁষে থাকতে। সঙ্গে সারা ক্ষণ খুনসুটি করতে, যোগাযোগ রাখতে। মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত মুহূর্ত বা ‘স্পেস’ সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণাই নেই। তাই প্রিয় মানুষটি স্নানঘরে ঢুকলেও কখনও ভিতরে বা দরজার সামনে ঠায় বসে থাকে।
২) একতা বজায় রাখা
স্বভাববশতই কুকুরেরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। কয়েক মুহূর্তের জন্য প্রিয় মানুষটির থেকে আলাদা হয়ে গেলে সে নিজেকে দলছুট বলে মনে করতে পারে। তাই সে তার প্রভুর কাছাকাছি থাকতে চায়।
৩) চেনা গন্ধের খোঁজে
মানুষের ঘ্রাণেন্দ্রিয় পর্যন্ত যে গন্ধ পৌঁছয় না কুকুরদের নাকে তা সহজেই পৌঁছে যায়। অনেক সময়েই দেখা যায় আপনি যে সুগন্ধি মাখেন, সেই গন্ধমাখা পোশাক স্নানঘরে থাকলে সেখান পর্যন্ত পোষ্য ছুটে যায়।
৪) অভ্যাসবশত
দিনের কোনও একটি সময়ে ছোট থেকেই যদি পোষ্যকে স্নানঘরে যাওয়ার অভ্যাস করিয়েছেন। সেই অভ্যাসের বশেই পোষ্যটি বার বার ঘুরেফিরে শৌচালয়ে যেতে পারে।
৫) বিচ্ছেদের ভয়ে
অনেক সময়ে নিজের প্রাণের চেয়েও প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিচ্ছেদের ভয় থেকেও সে শৌচালয়ে ঢুকে পড়তে পারে। স্নানঘরের দরজা বন্ধ করতে দেখলেই এই ভয় তাকে তাড়া করে বেড়ায়। নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে থাকে পোষ্যটি।