‘বিদায় বন্ধু বিদায়’ ছবি: সংগৃহীত
প্রায় বারো বছরের বন্ধুত্ব র্যাচেল ও বোয়ির। সেই জুটি ভেঙে গেলে কষ্ট তো হবেই। কিন্তু কালের নিয়মকে অস্বীকার করার তো উপায় নেই। তাই প্রিয় সারমেয় বোয়িকে চিরতরে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন পশুসেবিকা র্যাচেল। শেষ বার পোষ্যকে আলিঙ্গন করার সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। জাপটে ধরে চুমুতে ভরিয়ে দেন বোয়িকে। সেই ভিডিয়োই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে টিকটকে।
প্রিয় পোষ্যের সঙ্গে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব মানুষের সঙ্গে তৈরি হওয়া সম্পর্কের থেকে কোনও অংশে কম নয়। সে যন্ত্রণায় কষ্ট পেলে সহজ নয় তার ধাক্কা সামলানোও। তাই বয়সের ভারে ধুঁকতে থাকা কুকুরটি যাতে যন্ত্রণাহীন ভাবে চলে যেতে পারে, তার জন্য ‘ইউথ্যানেশিয়া’ পদ্ধতি বেছে নেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বাসিন্দা র্যাচেল। এই পদ্ধতিতে প্রথমে ওষুধ দিয়ে অচেতন করে ফেলা হয়, তার পর বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় মেরে ফেলা হয় কুকুরটিকে।
র্যাচেল জানিয়েছেন, প্রায় বারো বছর তাঁদের সঙ্গে ছিল স্প্যানিয়েল প্রজাতির কুকুরটি। কিন্তু শেষ কিছুদিন বার্ধক্যের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছিল সে। তাই সমবেত ভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনও দিনও বোয়িকে ভুলতে পারবেন না। প্রিয় বোয়ি যে শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাহীন ভাবে চলে যেতে পেরেছে তা ভেবেই মনকে সান্তনা দিচ্ছেন তিনি।