চরম যৌনসুখ উপভোগ করতে পারছেন না? ছবি: শাটারস্টক।
যৌনজীবন সুখের না হলে দাম্পত্যে সুখ আসে না। কেবল শরীরী চাহিদা পূরণের জন্যই নয়, মন-মেজাজ ভাল রাখতে, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও সুখী যৌনজীবনের প্রয়োজন আছে। আর সুখী যৌনজীবনের জন্য অবশ্যই দরকার ঠিক শিক্ষা। যৌনতা নিয়ে কথা বলতে এখনও অনেকের বড্ড আপত্তি। প্রকাশ্যে যৌনতা নিয়ে কথা বললেই সমাজের চোখরাঙানির সম্মুখীন হতে হয় অনেককে। একে অপরের সঙ্গে যৌনবিষয়ক কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ না করার কারণে অনেক দম্পতিই মিলনের সময়ে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যাতে ভাটা পড়ে আনন্দে। জেনে নিন যৌনতা নিয়ে কোন সমস্যাগুলির মুখিমুখি হতে হয় বেশির ভাগ দম্পতিকে।
১) যৌনতা নিয়ে কল্পনার জগৎ: যৌনতা নিয়ে শিক্ষার অভাবের কারণে অনেকেই পর্ন ছবি দেখেই কল্পনার জগতে চলে যান। অনেকেই মনে করেন, পর্দায় যা দেখছি সেটাই বুঝি বাস্তব। আর এ কারণেই বাস্তব জীবনে যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না তাঁরা। পুরুষাঙ্গের আকার, চরম সুখ নিয়ে ভুল ধারণা জন্মায় তাঁদের মনে। পর্দায় যা দেখছেন, সেটাই ধ্রুব সত্য এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। প্রয়োজনে যৌনতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের কাছে যান। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাঁরা আপনাকে সাহায্য করতে পারেন।
২) সন্তানধারণের ভীতি: মহিলাদের মনে সন্তানধারণ নিয়ে ভীতি থাকলে তাঁরা কখনওই যৌনতা উপভোগ করতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে কন্ডোম ব্যবহারে অনিচ্ছা এই জন্য অনেকটা দায়ী। মহিলারা যৌনতা উপভোগ করতে না পারলে তার সঙ্গীরও কিন্তু মিলন উপভোগ করা হবে না। তাই নিরাপদ হয়ে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেই যৌনতা উপভোগ করলে মিলন আরও বেশি গভীর হবে।
মিলনের সময়ে অনেক মহিলার তীব্র যন্ত্রণা হয়। ছবি: শাটারস্টক।
৩) শৃঙ্গারে অতৃপ্তি: যৌনতা মানে শুধুই যৌন মিলন নয়। ব্যক্তিগত কথোপকথন, স্নেহ-চুম্বন সবই ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলছেন, কয়েক সেকেন্ডের আলিঙ্গনও অক্সিটোসিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, এই হরমোনের প্রভাবেই বাড়ে যৌন উত্তোজনা। সঙ্গমের আগে স্নেহ-স্পর্শগুলি বেশ উপভোগ করেন মহিলারা। তাই মহিলাদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হবে। উত্তেজনার বশে তাড়াহুড়ো করে ফেলা যৌন মিলনের আনন্দে অনেকটাই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪) মিলনের সময়ে ব্যথা: মিলনের সময়ে অনেক মহিলার তীব্র যন্ত্রণা হয়। এই যন্ত্রণা নানা কারণে হতে পারে। কখনও কোনও সংক্রমণ, শৃঙ্গারে তৃপ্তি না পাওয়া আরও নানা কারণে যোনিতে তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। কখনও কখনও এই ব্যথা মানসিকও হতে পারে। আবার মহলাদের শরীরে এন্ডোমেট্রিয়োসিস বাসা বাঁধলেও মিলনের সময়ে তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়। তাই এমন কোনও সমস্যা হলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।
৫) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব: যৌনাঙ্গের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। তবে এটি একটি নিয়মিত অভ্যাস। কেবল যৌন মিলনের আগে ও পরে যৌনাঙ্গ সাফ করলেই এই পরিচ্ছন্নতা প্রকাশ পায় না। শুধু যৌন মিলনই নয়, যৌন স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও নিয়মিত যৌনাঙ্গ সাফ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এতে দূরে থাকে যৌন রোগ। অপরিষ্কার যৌনাঙ্গের কারণে সঙ্গী মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।