৩০ বছর বয়সি ম্যাডেলিন পরীক্ষা করেন পুরুষদের চরিত্র। ছবি: সংগৃহীত
নাম ম্যাডেলিন স্মিথ। ৩০ বছর বয়সি ম্যাডেলিন একই সঙ্গে মডেল এবং গোয়েন্দা। তবে খুন কিংবা গুপ্তধনের সঙ্কেত নয়, তিনি পরীক্ষা করেন পুরুষদের চরিত্র। সমাজমাধ্যমে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। মডেলের দাবি, প্রেমিকা কিংবা স্ত্রীর হয়ে পুরুষসঙ্গীর সততার পরীক্ষা নেন তিনি।
সম্পর্কের সততা নিয়ে হওয়া একটি টিভি রিয়েলিটি শো দেখে প্রথম বার এই কাজ করার অনুপ্রেরণা পান ম্যাডেলিন। ছবি: সংগৃহীত
টিকটকে প্রায় ৮৭ হাজার অনুরাগী রয়েছেন ম্যাডেলিনের। সেখানেই পুরুষদের প্রতারণার নানা কাণ্ড ফাঁস করেন। মডেল জানিয়েছেন, সম্পর্কের সততা নিয়ে হওয়া একটি টিভি রিয়েলিটি শো দেখে প্রথম বার এই কাজ করার অনুপ্রেরণা পান তিনি। ম্যাডেলিন জানিয়েছেন, কোনও নারীর যদি পুরুষসঙ্গীর সততা নিয়ে সংশয় থাকে, তবে সমাজমাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। সেখানেই সংশ্লিষ্ট নারীকে একটি ফর্ম দেওয়া হয়। সেই ফর্ম পূরণ করতে হয় আবেদনকারীকে।
সততা পরীক্ষার জন্য মাথাপিছু ফি-ও নেন ম্যাডেলিন। ছবি: সংগৃহীত
যাঁর চরিত্র নিয়ে সংশয়, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর নেন ম্যাডেলিন। জেনে নেন, পছন্দ-অপছন্দ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য। এর পরে ওই ব্যক্তিদের জন্য মধুফাঁদ পাতেন তিনি। সব পুরুষের জন্য একই পদ্ধতি খাটে না। কোন ব্যক্তির দুর্বলতা কোন দিকে, তা বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পাতেন ম্যাডেলিন। প্রাথমিক আলাপচারিতা কিছু দূর গড়ালে, তিনি প্রস্তাব দেন পরকীয়া ও যৌনাচারের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যদি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান, তবে তৎক্ষণাৎ তিনি তা জানিয়ে দেন তাঁর সঙ্গীকে। এই সততা পরীক্ষার জন্য মাথাপিছু ফি-ও নেন ম্যাডেলিন। মডেলের দাবি, এখনও এক হাজারেরও বেশি পুরুষের অসৎ আচরণের কথা ফাঁস করেছেন তিনি। তবে এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, সব পুরুষ কিন্তু অসৎ নন। অনেকেই পরকীয়ায় সরাসরি নাকচ করে দেন।