কল্কি কেঁকলা। ছবি: সংগৃহীত।
স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই অভিনেত্রী কল্কি কেঁকলার। রেখেঢেকে কথা বলতে তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না, বলেনও না। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে কম বয়সে প্রেম নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন অভিনেত্রী। তবে প্রেম নিয়ে নয়, বলা ভাল প্রেম ভাঙার ‘কৌশল’ জানালেন তিনি। এখন স্বামী, সন্তান নিয়ে তিনি ঘোরতর সংসারী। সম্পর্কে থিতু হয়েছেন। তবে কম বয়সে কল্কির প্রেমের সংখ্যা অগুনতি। নিজেই তা স্বীকার করেছেন। একটা সময় ছিল, যখন কোনও সম্পর্কে কয়েক মাসের বেশি থাকতেন না তিনি। ঘন ঘন নাকি প্রেমে পড়তেন। আবার সেই প্রেম ভেঙে গেলে তড়িঘ়ড়ি নতুন সম্পর্কে জড়াতেন। নিজেকে একটু সময় দিতেন না। কল্কি জানিয়েছেন, তাঁর বেশির ভাগ প্রেম তিনি নিজেই ভেঙে দিতেন।
সম্পর্কে থাকাকালীন হয়তো অন্য কাউকে এমন ভাল লেগে গিয়েছে, আগের সম্পর্কে মন দিতে পারতেন না। শয়নে-স্বপনে-জাগরণে নতুন মানুষটির কথা ভেবে যেতেন। আর সেই সঙ্গে ভাবতেন, কী ভাবে আগের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা যায়। কল্কি বলেন, ‘‘আমি আসলে কোনও সম্পর্কে কোনও দিন থিতু হতে চাইনি। এখন আমি কারও মা, কারও জীবনসঙ্গী। তবে তখন জীবন নিয়ে এ সব ভাবতেই পারতাম না। খালি প্রেমের জোয়ারে ভেসে যেতাম। এখন অবশ্য সেই দিনগুলির কথা ভাবলে বেশ অন্য রকম অনুভূতি হয়।’’
কল্কি বরাবরই খোলাখুলি কথা বলতে ভালবাসেন। রাখঢাক গুড় গুড়ে তিনি একেবারে বিশ্বাসী নয়। না হলে নিজের ফেলে আসে প্রেমজীবন নিয়ে এতটা অকপট কেউ হতে পারেন না। তবে কল্কি পেরেছেন। কী ভাবে পুরনো সম্পর্কে ভেঙে নতুন সম্পর্কে যেতেন, সেই ‘মাস্টারস্ট্রোক’-এর কথাও জানিয়েছেন তিনি। একটি সম্পর্কে থাকাকালীন যাঁকে মন দিতেন, তাঁর সঙ্গে রাত্রিযাপন করতেন কল্কি। এমন ক্ষেত্রে সাধারণত অনেকেই সঙ্গীর কাছে এই বিষয়গুলি আড়াল করেন। প্রেম ভেঙে যাওয়ার ভয়ে মূলত জীবনের সব সত্যি সঙ্গীর কাছে উজাড় করে দিতে বাধে। তবে কল্কির ক্ষেত্রে এই সত্যিই নাকি সবচেয়ে বড় তুরুপের তাস ছিল। নতুন মানুষের সঙ্গে নৈশযাপনের কথা তিনি সঙ্গীকে জানিয়ে দিতেন। প্রেমিকা অন্য পুরুষের শয্যাসঙ্গী হয়েছে জানার পর কোন প্রেমিক-ই বা মেনে নিতে পারে! এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কল্কিকে কিছু করতে হয়নি। বিনা পরিশ্রমেই সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেয়ে যেতেন। তার পরেই নতুন প্রেমের গান লিখতেন কল্কি।