অম্বানী পরিবারের রহস্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত।
অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী এবং তাঁর বাগ্দত্তা রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে আগামী ১২ জুলাই। তার আগে ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানের ঝলমলে উদযাপন হয়েছে গুজরাতের জামনগরে। এ বার দ্বিতীয় প্রাক্-বিবাহ উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে বিদেশের মাটিতে। অম্বানী পরিবারে যখন সাজ সাজ রব, তখনই অন্দরমহলের এক গোপন রহস্য ফাঁস হল। মুকেশ-নীতার পুত্র অনন্ত অম্বানীর থেকে নাকি বয়সে বড় হবু বৌমা রাধিকা মার্চেন্ট। ওদিকে অম্বানী পরিবারের জ্যেষ্ঠ পুত্র আকাশ অম্বানীর থেকেও নাকি বয়সে বড় তাঁর স্ত্রী শ্লোকা।
অনন্ত অম্বানীর জন্ম ১৯৯৫ সালের ১০ এপ্রিল। রাধিকার জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর। দু’জনের বয়সে কয়েক মাসের ব্যবধান রয়েছে। যদিও বয়সের ব্যবধান তাঁদের সম্পর্কে কোনও আঁচ ফেলেনি। অনন্ত-রাধিকা বরাবরই ভাল বন্ধু। প্রাক্-বিবাহের অনুষ্ঠানে অনন্ত জানিয়েছিলেন, রাধিকাকে দেখার পর থেকেই তাঁর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তিনি। রাধিকাই এমন এক জন, যিনি অনন্তের জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছেন। তাঁদের পারস্পরিক বোঝাপড়াও খুব ভাল। রাধিকাকে সব সময়েই চোখে হারান তিনি। শুধু তা-ই নয়, এত বছর প্রেমের পরেও রাধিকাকে যখন দেখেন, মনে হয় নতুন করে আবার প্রেমে পড়েছেন।
অনন্ত-রাধিকার প্রেমকাহিনী যতটা চর্চায়, ততটাই এক সময়ে ছিল আকাশ অম্বানী ও শ্লোকার প্রেম। মুকেশ ও নীতার জ্যেষ্ঠপুত্র আকাশ অম্বানীর স্ত্রী শ্লোকা। হিরে ব্যবসায়ী রাসেল এবং মোনা মেহতার মেয়ে শ্লোকা। ২০১৯-এ দুই পরিবারের এত দিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক পারিবারিক সম্পর্কে পরিণত হয়। সাতপাকে বাঁধা পড়েন আকাশ ও শ্লোকা। জানা গিয়েছে, শ্লোকাও নাকি বয়সে আকাশের থেকে বড়। তাঁদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান প্রায় এক বছরের। আকাশ অম্বানীর জন্য ১৯৯১ সালের ২৩ অক্টোবর, আর শ্লোকা জন্মেছেন ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই।
শোনা যায়, ছেলেবেলা থেকেই একে অপরের বন্ধু ছিলেন আকাশ এবং শ্লোকা। ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে একসঙ্গে পড়াশোনাও করেন তাঁরা। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই বন্ধুত্ব সম্পর্কের আকার নেয়। তার পরই গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। ২০২০ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন শ্লোকা। দাদু-ঠাকুরমা হয়েছেন মুকেশ-নীতা। এখন অনন্ত-রাধিকার বিয়ে নিয়েই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত তাঁরা।