বর্ষায় পোষ্যদের বিশেষ যত্ন জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এখন থেকেই নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভেজা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ। এই সময়টাতে পোষ্যদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে যে সব কুকুরের ঘন লোম, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা বেড়ে যায়। স্নান করানোর পরে সেই জল তাড়াতাড়ি শুকোতে চায় না। ফলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।
বৃষ্টিবাদলের এই সময়টিতে পোষ্য কুকুরের যত্ন কী ভাবে নেবেন, রইল তার টিপ্স।
১) কুকুরকে নিয়ে যখন হাঁটতে বেরোবেন, তখন কর্দমাক্ত জায়গা বা জলে ডোবা জায়গা এড়িয়ে চলুন। বাড়ি ফিরে আসার পর কুকুরের থাবাগুলি জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে দেবেন যাতে ময়লা লেগে না থাকে।
২) খাবার জলের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সাবধান থাকতে হবে। পশু চিকিৎসকেরা বলেন, বর্ষার সময়ে জলবাহিত বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায় কুকুরদের। তাই জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেতে দিন পোষ্য কুকুরকে।
৩) বর্ষাকালে ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে। তাই এই সময়টাতে শ্যাম্পু ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন পশু চিকিৎসকেরা। ছত্রাক এবং পরজীবী আটকানোর শ্যাম্পু দিয়ে কুকুরকে স্নান করাতে পারেন। তবে কী ধরনের শ্যাম্পু আপনার পোষ্যের জন্য কিনবেন, তা পশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন।
৪) চেষ্টা করুন পোষ্যকে যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে। স্নানের পর ভাল করে মুছিয়ে দেবেন। লোম যেন দীর্ঘ সময় ভিজে না থাকে।
৫) শুধু ছত্রাকের সংক্রমণই নয়, এই সময়ে কুকুরের গায়ে পোকাও হতে পারে। বর্ষায় ভেজা আবহাওয়ায় এই ধরনের পরজীবীদের বাড়বাড়ন্ত হয়। খেয়াল রাখুন, আপনার পোষ্যেরও তেমন কিছু হচ্ছে কি না। যদি দেখেন পোষ্য বার বার গায়ের লোম চাটছে এবং একটা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে, তা হলে বুঝবেন ব্যাক্টেরিয়াল অথবা ছত্রাকের সংক্রমণ হয়েছে। তখন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ান।
৬) বর্ষার সময়ে কুকুরদের কানেও সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনার পোষ্যের কানের বাইরের অংশ মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করে দিতে হবে।
৭) পোষ্যকে নিয়ে যদি ঘন ঘন বাইরে বেরোন, তা হলে খেয়াল রাখতে হবে ওর থাবায় কোনও রকম সংক্রমণ হচ্ছে কি না। অনেক কুকুরেরই ত্বকে তেমন সংক্রমণ না হলেও থাবায় খুব দ্রুত সংক্রমণ হয়। সেটা খেয়াল করেন না অনেকেই। যদি সামান্য সমস্যাও বোঝেন, তা হলে দেরি না করে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।