‘না’ বলার সহজ উপায়। —ফাইল চিত্র
ভালবাসা মেলা কি সহজ? কাকে কার মনে ধরে, তা কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয়। উল্টোটিও সমান ভাবেই প্রযোজ্য। অনেক সময়ে উল্টো দিকের মানুষটি প্রেমে পড়লেও মন না ভিজতে পারে এ দিকের মানুষটির। ফলে ফিরিয়ে দিতে হয় প্রেম প্রস্তাব। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে, পারস্পরিক আলাপচারিতার জায়গা থাকবে না, পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে যোগাযোগ। বিশেষ করে সেই প্রস্তাব যদি আসে এমন কোনও মানুষের থেকে, যাঁর সঙ্গে রোজই দেখা হয়, তবে অস্বস্তি আরও বেশি হতে পারে। সহকর্মী বা কাছের বন্ধুর থেকে এই ধরনের প্রস্তাব এলে কী ভাবে না বলবেন, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই।
১। প্রেমে পড়া বা না পড়ার কোনও লিখিত নিয়ম নেই। কাজেই ভালবাসা থাকলে যেমন স্পষ্ট করে বলা উচিত, না থাকলেও সেটা স্পষ্ট করে বলে দেওয়াই ভাল। কাজেই প্রেম প্রস্তাব মানেই তা নিয়ে কথা বলা যাবে না, এই ভাবনা থেকে দূরে থাকাই ভাল। অনেক সময়ে দেখা যায়, কেউ দীর্ঘদিন পর কোনও মানুষের প্রতি ভালবাসা অনুভব করেন। সে ক্ষেত্রে পরিচিত মানুষকে মুখের উপর ‘না’ করা সহজ নয়। কিন্তু এটাও সত্যি যে, দীর্ঘদিন সুসম্পর্কে থাকার পর ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ‘না’ বলার থেকে সরাসরি ‘না’ বলাই ভাল।
২। এখন সমাজমাধ্যমে নিত্যনতুন মানুষের সঙ্গে আলাপ হয়। অনলাইনে আলাপ ও আপনার ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন স্বল্প পরিচিত কেউ যদি ডেটের প্রস্তাব দেন তা হলে বলতে পারেন আপনি অন্য কারও প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই তাঁকে ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে ডেটে যেতে আগ্রহী নন।
নিজের ইচ্ছের বাইরে বেরিয়ে কাউকে তুষ্ট করার জন্য কিছু করলে আদতে দু’জনেরই ক্ষতি হয়। —ফাইল চিত্র
৩। বহু মানুষই কোনও সম্পর্কেই যেতে চান না। যদি তেমনই হয়, সরাসরি বলে দিন যে আপনি একা থাকতে চান। কোনও ধরনের যৌথতায় জড়ানোর মতো মানসিক অবস্থায় নেই।
৪। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বন্ধুও প্রেম প্রস্তাব দিয়ে বসেন। এ ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান করা খুবই কঠিন। এই ধরনের ঘটনায় বন্ধুত্বে ভরসা রাখুন। সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে অসুবিধা হলে ছোট কিন্তু সুন্দর চিঠিতে লিখে বলতে পারেন সেই কথা। এতে বোঝা যাবে যে, আপনি যেমন তাঁকে আহত করতে চান না, তেমনই জড়াতে চান না সম্পর্কেও।
৫। যদি অপরিচিত কেউ প্রেম প্রস্তাব দেন সরাসরি দেখাতে পারেন কাজের ব্যস্ততা। অতিকথন ছাড়া এড়িয়ে যাওয়ার অব্যর্থ উপায় এটি। তবে মনে রাখতে হবে প্রত্যাখ্যানে অপরাধবোধে ভোগার কোনও কারণ নেই। যে কোনও সম্পর্কের মূল সূত্রই হল পারস্পরিক সম্মতি ও সদিচ্ছা। নিজের ইচ্ছের বাইরে বেরিয়ে কাউকে তুষ্ট করার জন্য কিছু করলে আদতে দু’জনেরই ক্ষতি হয়। সত্যিটা কঠিন হলেও সেটা অপরজনের জন্য শেষ পর্যন্ত বেশি মঙ্গলজনক হবে।