শরীরী উদ্যাপনের আগে অস্বস্তি তাড়ান সহজেই। প্রতীকী ছবি।
নিউ ইয়র্কের মনোরোগ চিকিৎসক পামেলা স্টিফেনসন। তাঁর কাজের বিষয় মূলত ‘সেক্সুয়াল ডিসঅর্ডার’। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নিয়ে যাবতীয় ভয় সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে বহু মানুষ আসেন। সম্প্রতি ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী তাঁর কাছে আসেন। তাঁর সমস্যা কেমন?
ওই তরুণী জানান, তিনি দু’মাস ধরে একটি সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু যখনই সঙ্গী তাঁকে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা বলেন, তিনি মানসিক উদ্বেগে ভোগেন। ভালবাসায় শরীরী উদ্যাপন থাকবে। এ তো চিরন্তন। প্রিয় মানুষটিকে নিজের করে পাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা তৃপ্তি এবং অনুভূতি রয়েছে। এমন চাওয়ায় কোনও অস্বাভাবিকতা লুকিয়ে নেই। এ ক্ষেত্রে সমস্যাটি অন্য জায়গায়। ওই তরুণী নিজেও সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চান। কিন্তু তিনি এখনও কুমারী। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা তাঁর হয়নি। তাই এই বিষয়টি নিয়ে কথা বললেই একটা ভয় আর উদ্বেগ কাজ করে তাঁর মধ্যে। ওই তরুণী এ-ও জানিয়েছেন, সঙ্গীকে নগ্ন ছবি পাঠাতেও তাঁর কুণ্ঠা বোধ হয় না। কিন্তু শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা উঠলেই তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন।
পামেলার কাছে এমন সমস্যা নিয়ে অনেকেই আসেন। বিশেষ করে কমবয়সি তরুণীদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যায়। তিনি ওই তরুণীকে একটি সমাধান দিয়েছেন। পামেলার মতে, যৌনতায় লিপ্ত হবেন কি না, তা একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটি এমন একটি বিষয়, যা কেউ কারও উপর চাপিয়ে দিতে পারে না। জোর তো করতেই পারে না। প্রিয় মানুষটিকে শারীরিক ভাবে কাছে পাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি রয়েছে। যেটা উপভোগ করার। কিন্তু সেই অনুভূতি যে সব সময়ে আসবেই, এমন না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নিজের মনের বিরুদ্ধে না যাওয়াই শ্রেয়। কেউ যদি এখনও মানসিক ভাবে প্রস্তুত না হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা করে যাওয়া উচিত। তাড়াহুড়ো করে একটা খারাপ যৌন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে নিজেকে না নিয়ে যাওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে সঙ্গী যদি এ বিষয়ে জোর করেন, তাঁকে পুরো বিষয়টি খোলাখুলি বলাই ভাল। তা সত্ত্বেও তিনি যদি জোর করেন, তা হলে এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতেও দ্বিধা করবেন না।