যমজ সন্তান সামলাতে মেনে চলতে পারেন কিছু বিশেষ কৌশল। ছবি: প্রতীকী
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে দুই যমজ বোনের ভিডিয়ো। হামাগুড়ি দেওয়া থেকে একসঙ্গে বসে খেলাধুলো করা, সব কাজের মধ্যেই দুই খুদে একে অপরের চুল ধরে টানত। দুই কন্যার চুলোচুলি থামাতে বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেন, ন্যাড়া করে দেবেন দু’জনকে। শেষ পর্যন্ত তাতেই কাজ হয়। চেষ্টা করেও আর একে অপরের চুল টানতে পারছে না দুই খুদে। ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি দেখে হাসির রোল উঠলেও যমজ সন্তান সামলানো কিন্তু সত্যিই বেশ ঝক্কির কাজ হতে পারে। তাই যমজ সন্তান সামলাতে মেনে চলতে পারেন কিছু বিশেষ কৌশল।
১। পরিবারের সাহায্য নিন
একটি সন্তান সামলানোই নতুন মায়ের জন্য সহজ নয়। তার উপর সন্তানের জন্মের পর মায়ের নিজেরও আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয়। আর যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে সব কিছুই দ্বিগুণ হয়ে যায়। কাজেই খুদেদের বড় করতে নতুন বাবা-মা, আত্মীয়, কাছের বন্ধু, কিংবা নির্ভরযোগ্য প্রতিবেশীর সাহায্য চাইতে পারেন। দুই খুদের ভার যদি অন্তত ঘণ্টাখানেকের জন্যেও অন্য কেউ নেন, তবে তার ফাঁকে কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারবেন আপনি।
২। সময় বাঁচবে কী ভাবে
সদ্যোজাত সন্তানদের একই সময় দুই হাতে দু’টি বোতলে করে দুধ খাওয়াতে পারেন। স্তন্যদানের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি নিতে পারেন। দুই সন্তানকে কোলে শুইয়ে রেখে উভয়কেই একসঙ্গে দুগ্ধপান করানোর চেষ্টা করা যায়। এতে কিছুটা সময় বাঁচাবে।
৩। দুই সন্তান এক নয়
যমজ সন্তানদের নিয়ে বেশ কিছু ধারণা প্রচলিত রয়েছে। যেমন তাদের আচার-আচরণও একই রকম, খিদে পাওয়া থেকে শরীর খারাপ হওয়া সবেতেই দুই সন্তান অভিন্ন। কিন্তু এই ধারণাগুলি সব সময় ঠিক হয় না। দুই সন্তানকে পৃথক ব্যক্তিত্ব হিসেবেই গণ্য করুন। তাদের নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তোলার সুযোগ দিন। সব সময় একই ধরনের পোশাক পরতে হবে, কিংবা একই বিষয়ে আগ্রহী হতে হবে, এমন নয়। এক জনের গান ভাল লাগতে পারে, অন্য জনের আঁকার হাত ভাল হতে পারে। দুই জনকেই স্বতন্ত্র পরিচিতি খুঁজে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
৪। তুলনা করবেন না
এই বিষয়টি কেবল যমজ নয়, একাধিক সন্তান থাকলেও প্রযোজ্য। এক সন্তানের সঙ্গে অন্য সন্তানের তুলনা টানার প্রবণতা থাকে অনেক অভিভাবকের মধ্যেই। কিন্তু সব সময় দুই সন্তানের মধ্যে এ হেন তুলনা টানা ঠিক নয়। এতে শিশুমনে ভাই বা বোনের প্রতি দ্বেষ তৈরি হতে পারে, হীনম্মন্যতা দেখা দিতে পারে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে গড়ে উঠতে পারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
৫। আলাদা আলাদা সময় দিন
উভয় সন্তানের জন্য সমান ভাবে সময় ভাগ করে নিন। দু’জনের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি, আলাদা ভাবেও দু’জনের সঙ্গে সময় কাটান। আলাদা ভাবে কথা বলুন, বই পড়ে শোনান কিংবা তাদের নিয়ে ঘুরতে যান। উভয় সন্তানই কখনও কখনও নিজের মা-কে একক ভাবে পেতে চায়। এক এক জনকে আলাদা ভাবে সময় দেওয়া স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলতেও সাহায্য করে।