সন্তানের দিকে বাড়তি নজর দিতে গিয়ে কোথাও যেন নিজেদের রসায়ন বিগড়ে যায়। প্রতীকী ছবি।
সন্তানের জন্মের পর স্বাভাবিক ভাবেই শিশুর দিকে নজর দিতে ব্যস্ত থাকেন পরিবারের সকলে। বিশেষ করে মা-বাবার জন্য এই সময়টি বেশ কঠিন। জীবন একেবারে বদলে যায়। নতুন নতুন দায়িত্ব। নতুন চিন্তা। সবটাই শিশুকে ঘিরে। কিন্তু এ সময়ে কি হারিয়ে যেতে পারে নিজেদের সম্পর্কের উষ্ণতা?
সন্তান জন্মের পর দম্পতিরা অনেক সময়েই এমন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। সন্তানের দিকে বাড়তি নজর দিতে গিয়ে কোথাও যেন নিজেদের রসায়ন বিগড়ে যায়। বিবাহের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এই সময়ে কিন্তু সম্পর্কের উপর বাড়তি নজর না দিলে নয়!
সংসারের চিন্তা থেকে দূরে একান্তে সময় কাটিয়ে দেখুন। সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরার জন্য এটুকু চেষ্টা তো করতেই হবে। প্রতীকী ছবি।
নিজেদের সময় দিতে এই সময়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। খুব দূরে না যেতে চাইলে সপ্তাহান্তে কাছেপিঠেই ঘুরে আসুন। তাতেও আপত্তি থাকে অনেকের। সন্তানকে একা রেখে কী ভাবে যাবেন, তা নিয়ে হাজার চিন্তা। সন্তানকে বাবা-মায়ের কাছে রেখে দু’দিনের জন্য হলেও ঘুরে আসুন। শিশুর বয়স দু’-আড়াই বছর হয়ে গেলে এমনটা করাই যায়। আপনি যদি মনে করেন শিশু আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবে না, এমনটা কিন্তু নয়। শিশুরা কিন্তু নিজের মতো ঠিক মানিয়ে নেবে। এ ভাবেই কিন্তু তারা সাবলম্বী হতে শিখবে। সারা ক্ষণ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতে থাকতে খুদেদের পরিবারের আর পাঁচ জনের সঙ্গে কোনও নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয় না। কয়েক দিনের জন্য একলা ছেড়েই দেখুন না। আপনারা তাদের সব কাজ করে দিলে তারা তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তাই খুদেদের একা থাকতেও শিখতে হবে, এতে তারা আত্মনির্ভর হবে।
সন্তানের প্রতি অবশ্যই অনেক দায়িত্ব থাকে। কিন্তু তাই বলে নিজেকে অবহেলা করলে চলবে না। নিজের সুখটাও দেখতে হবে। তাই সংসার জীবন থেকে ছুটি নিয়ে দু’দিনের জন্য বেরিয়ে পড়লে গ্লানিতে ভোগার কোনও কারণ নেই। সন্তানের জন্মের আগে দম্পতি হিসাবে নিজেরা যে স্বপ্নগুলি দেখেছেন, সেগুলিকে ভুলে গেলে হবে না। অনেকটা সময় কাছাকাছি থাকা, কেবল নিজেদের নিয়ে কথাবার্তা বলা, সংসারের চিন্তা থেকে দূরে একান্তে সময় কাটিয়ে দেখুন। সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরার জন্য এটুকু চেষ্টা তো করতেই হবে।