এত দাবি কোথায় রাখবেন? ছবি: প্রতীকী।
পাত্রপাত্রীর বাজারে এখন ঘটকালি সংস্থার ছড়াছড়ি। বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্র-পাত্রীর খোঁজ নতুন নয়। সেই বিজ্ঞাপনে লেখা পাত্র-পাত্রীর গায়ের রঙের বর্ণনা কিংবা জাতপাতের উল্লেখ নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। তেমনই একটি বিজ্ঞাপন সম্প্রতি ঘুরপাক খাচ্ছে টুইটারে। এ ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় পাত্রের লেখাপড়া। সম্প্রতি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে ঘটকালি সংস্থায় জামাই খুঁজতে আসা এক বাবার পোস্ট। তাঁর চাহিদার লিস্টি শুনে চক্ষু চড়কগাছে নেটিজেনদের।
চাহিদা অনুয়ায়ী, পাত্রের জন্ম ১৯৯২ সালের আগে হলে চলবে না। শুধু কি তাই! কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের থেকে ডিগ্রি থাকলে তবেই তিনি তাঁর জামাই করবেন, বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে তারও। ছেলে কেবল ইঞ্জিনিয়ার হলেই চলবে না আইআইটি, এনআইটি, আইআইআইটি, বিআইটিএস পিলানি, হায়দরাবাদ, ডিটিইউ, এনএসআইটি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকলে তবেই তিনি যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
আর যদি পাত্র এমবিএ পাশ করেন, তা হলে তাঁর কাছে আইআইএম, এসপি জৈন কলেজ অথবা এক্সএলআরআই-এর ডিগ্রি থাকতে হবে।
এতেই বাবার দাবি শেষ হয়নি। মেয়ের জন্য তাঁর কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত পাত্র চাই, যাঁর বার্ষিক বেতন হতে হবে অন্ততপক্ষে ৩০ লক্ষ। পাত্রের উচ্চতা হতে হবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ৬ ফুটের মধ্যে। খুব বড় পরিবার হলে চলবে না। কেবল পাত্রই নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও হতে হবে উচ্চশিক্ষিত।
টুইটারে এই বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে নেটাগরিকরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘‘মেয়ের বিয়ে না কি, পাত্রের চাকরির বিজ্ঞাপন এটা?’’
আর একজন লিখেছেন, ‘‘এমন বিজ্ঞাপন যদি পাত্রী খোঁজার জন্য দেওয়া হত, তা হলে এই সমাজ তা মেনে নিত তো? বিয়ের পর টাকাপয়সা নিশ্চয়ই জরুরি, কিন্তু ভালবাসার উপরে কিছু নেই।”