ভিডিয়ো টুইটারে প্রকাশ পেতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ছবি: টুইটার।
প্রেমিকাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু আরোগ্য তো দূর, হাসপাতালের সামনে এমন কাণ্ড হল, যা বাড়িয়ে দিতে পারে রক্তচাপ। যিনি চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন, হাসপাতালে হাজির হন সেই ব্যক্তির স্ত্রী। প্রেমিকাসমেত স্বামীকে দেখেই, মারমুখী হয়ে উঠলেন স্ত্রী। আক্রমণ করেন স্বামীর প্রেমিকাকে। দিনেদুপুরে রাস্তার উপরেই শুরু হয়ে যায় তুমুল হাতাহাতি। উত্তরপ্রদেশের ঘটনা।
নেটমাধ্যমে ঘুরপাক খাওয়া ২৮ সেকেন্ডের ভিডিয়োটি ফারুকাবাদের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের সামনে তোলা। যিনি ভিডিয়োটি প্রকাশ করেছেন, তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তি ২০ অক্টোবর প্রেমিকাকে নিয়ে সেখানে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়ে যান স্ত্রী-ও। তার পরেই শুরু হয় মারামারি। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, লাল ও গোলাপি রঙের সালোয়ার কামিজ পরা দুই মহিলা রীতিমতো কুস্তিগিরদের কায়দায় একে অপরের সঙ্গে মুষ্টিযুদ্ধ করছেন। ঠেলে ফেলছেন একে অপরকে।
প্রথমে বিষয়টি কিছুটা দূর থেকেই দেখছিলেন সাদা ফতুয়া পরা ওই ব্যক্তি। কিন্তু বেশি ক্ষণ দূরে থাকতে পারেননি তিনি। চেষ্টা করেন দু’জনকে ছাড়ানোর। কোনও চেষ্টাই কাজে আসেনি প্রাথমিক ভাবে। শেষ পর্যন্ত দুই মহিলার এক জনের পড়ে থাকা চটি কুড়িয়ে নেন তিনি। সেই চটি দিয়ে চাঁটি মারেন দু’জনকেই। মারমুখী দুই নারীর মাঝে দাঁড়িয়ে থামান লড়াই।
ভিডিয়ো টুইটারে প্রকাশ পেতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ৯৫ হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন সেই ভিডিয়ো। নেটাগরিকদের কেউ বলছেন, দুই নারীকে এ ভাবে মেরে মোটেই ঠিক করেননি ওই ব্যক্তি। কারও আবার মত, দুই মারমুখী নারীর মাঝে ‘রেফারি’-র ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।