যৌনতা মানে শুধুই যৌনমিলন নয়। ছবি: শাটারস্টক।
দাম্পত্যসুখের অন্যতম চাবিকাঠি সুখী যৌনজীবন। কর্মব্যস্ত জীবনে একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ হয়ে ওঠে না অনেকের। সঙ্গম হলেও তাতে প্রেমরস থাকে না। সবটাই যেন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা মিলনের সময়ে করে বসেন এমন কিছু ভুল, যাতে ভাটা পড়ে যৌনতার আনন্দে। যৌনজীবনে সুখ ফিরিয়ে আনতে কী করবেন, রইল তার হদিস।
১) যৌনতা মানে শুধুই যৌনমিলন নয়। সম্পর্কের ভীত মজবুত করতে ব্যক্তিগত কথোপকথন, স্নেহচুম্বনটারও প্রয়োজন আছে বইকি। সঙ্গমের আগে স্নেহস্পর্শগুলি বেশ উপভোগ করেন মহিলারা। তাই মহিলাদের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হবে।
২) পুরুষরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর চাহিদার সন্তুষ্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেন না। অথচ চরম সুখ উপভোগ করতে হলে কিন্তু পুরুষ ও নারীর মেহন সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই যৌনজীবনের হারানো সুখ ফিরিয়ে আনতে শুধু নিজের সন্তোষের কথা ভাবলে কিন্তু চলবে না!
৩) নতুন নতুন বিয়ের পর আমরা একে অপরকে সুখী করার জন্য যতটা সময় ব্যয় করি, ভাবনা মাথায় আনি, সম্পর্ক পুরনো হয়ে গেলে কিন্তু আর সেই প্রচেষ্টা করি না। এমনটা করলে চলবে না। স্ত্রীকে মাঝেমাঝে ছোটখাটো কিছু উপহার দিন, একান্তে তাঁর সঙ্গে সময় কাটান, কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসুন— মনমেজাজ ভাল থাকলে যৌনজীবন এমনই সুখকর হবে।
কথা বললেই কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
৪) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌনতার একটি পূর্ববর্তী ধারণা মাথায় গেঁথে নেন পুরুষরা। মিলনের সময়ে এক বার যে কাজগুলি সঙ্গীকে আনন্দ দিয়েছিল, পরের বার সেই পন্থা কাজে না-ও আসতে পারে। যৌনতার সময়ে কথা বলুন সঙ্গীর অনুভূতি সম্পর্কে। জানতে চান তিনি আদতেও উপভোগ করছেন কি না গোটা বিষয়টি। সঙ্গী বেশি উত্তেজিত বোধ করলে আপনার যৌনসুখ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। আপনারও কোনও রকম সমস্যা হলে তা খোলাখুলি বলুন সঙ্গীকে। কথা বললেই কিন্তু অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
৫) মানসিক চাপের কারণেও কিন্তু যৌনজীবনের প্রতি আসক্তি কমে যায়। তাই যৌনজীবনে উষ্ণতা ফিরিয়ে আনতে সবার আগে মনকে শান্ত করুন। যোগাসন, শরীরচর্চায় মন দিন। মন ভাল হলে যৌনতা উপভোগ করতে পারবেন।