কোন উপায়ে ভাল হবে হাতের লেখা ছবি: সংগৃহীত
সন্তানের পড়াশোনা নিয়ে এমনিতেই বাবা মাযের চিন্তার শেষ নেই তার উপরে যদি সন্তানের হাতের লেখা খারাপ হয় তবে সেই চিন্তা অনেকটাই বেড়ে যায়। ভাল মন্দের ধারণা আপেক্ষিক, এ কথা যেমন সত্যি তেমন এ কথাও সত্যি যে হাতের লেখা যদি একেবারেই বোধগম্য না হয় তবে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে শিশুর পড়াশোনায়। বিশেষজ্ঞদের মতে কিছুটা সময় ও যত্ন নিয়ে অনুশীলন করলেই ফিরতে পারে হাতের লেখার হাল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। বকাঝকা একদম নয়: সব শিশু একই গতিতে শেখে না। কাজেই প্রাথমিক ভাবে সন্তান ভুলভ্রান্তি করলেও বকাঝকা করা চলবে না। বরং হাতের লেখা অনুশীলন করাকে মজার করে তোলার চেষ্টা করুন। রংবেরঙের পেন্সিল কিংবা রঙিন কলম কিনে দিন। এতে লিখতে উৎসাহ পাবে সন্তান। শব্দ নিয়ে নানা রকম খেলা খেলুন। এতে শব্দ ভান্ডারও বাড়বে আবার হাতে কলমে লেখার অনুশীলনও হবে।
২। সরঞ্জাম: বাঙালি বাড়িতে এক সময় স্লেট পেন্সিলের চল ছিল। এখন কালের নিয়মে বদলে গিয়েছে সবই। অনেক শিশুর এখন অক্ষর জ্ঞান হয় বৈদ্যুতিন পর্দায়। তাই নিজের হাতে লিখতে অসুবিধা হওয়াই দস্তুর। খেয়াল রাখুন যে কলম বা পেন্সিল দিয়ে সন্তান লিখছে তা আদৌ তার পক্ষে সুবিধাজনক কি না। পেন্সিল দিয়ে লিখলে ভাল রবার ও কাগজ থাকা বাঞ্চনীয়।
৩। বুঝতে হবে সমস্যা: শিশু কিছুটা বড় হওয়ার পরেও যদি হাতের লেখার সমস্যা থেকে যায়, তবে পৌঁছতে হবে সমস্যার গোড়ায়। অক্ষরের সঠিক আকার না লেখা, পংক্তি বেঁকে যাওয়ার মতো সমস্যা দাগ টানা খাতায় লিখলে দূর হয়ে যেতে পারে। কিন্তু অনেক সময় এই জাতীয় সমস্যা অনেক বেশি গভীর হতে পারে। ডিসলেক্সিয়ার মতো সমস্যা থাকলেও খারাপ হতে পারে হাতের লেখা।
৪। অনুকরণ যোগ্য লেখা: সন্তান একটু বড় হলে অনুকরণীয় কোনও হাতের লেখা পেলে সেই লেখার আদলে হাতের লেখা অনুশীলন করাতে পারেন। তবে একাধিক মানুষের হাতের লেখা দেখতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারও কারও হাতের লেখার বিশেষ আদল থাকে সেই আদল থেকে শিখে নিজের মত করে হাতের লেখা অনুশীলন করেন অনেকে।
৫। শুধু লেখা নয়: লেখা সূক্ষ্ম স্নায়বিক কাজ। তাই অন্যান্য সৃজনশীল কাজ করতে পারলে সামগ্রিক ভাবেই বৃদ্ধি পায় স্নায়ুর কার্যকারিতা। কারুকাজ, ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজে সন্তানকে উৎসাহ দিন।