Relationship Tips

জয়ার সঙ্গে অশান্তির জেরেই ঘর ভাঙছে ঐশ্বর্যার! কী ভাবে মধুর হবে শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক?

একটু বুদ্ধি খরচ করলেই শাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি এড়িয়ে যেতে পারেন আপনি। জেনে নিন কোন কোন বিষয় মাথায় রাখলে কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়ির অশান্তি অনেকটাই দূরে থাকবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪০
Share:

(বাঁ দিকে) জয়া বচ্চন, ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

শাশুড়ির সঙ্গে অশান্তির জেরেই নাকি ঘর ভাঙছে ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের! বলিপাড়ায় এমনই চর্চা চলছে। দীপাবলির পার্টি হোক কিংবা জন্মদিনের অনুষ্ঠান, এ বছর ঐশ্বর্যার পাশে একটি বারের জন্যও দেখা যায়নি অভিষেক বচ্চনকে। এ কারণেই কি বচ্চনদের বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। শাশুড়ি-বৌমার মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় অনেক বাড়িতেই ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকে। এই সমস্যার আঁচ করে অনেকেই বিয়ে করতেও ভয় পান।

Advertisement

শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণে অনেকে মানসিক অবসাদেও ভোগেন। তবে একটু বুদ্ধি খরচ করলেই এই অশান্তি এড়িয়ে যেতে পারেন। জেনে নিন, কোন কোন বিষয় মাথায় রাখলে কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়ির অশান্তি অনেকটাই দূরে থাকবে।

১) আপনার স্বামী কিন্তু ওঁর সন্তানও বটে, এই কথা ভুললে চলবে না। স্বামীকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামাটা বোকামি। আপনি শাশুড়ির থেকে সব দিকেই ভাল— বরের সামনে এমনটা দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি আপনার থেকে বয়সে বড়, অভিজ্ঞতাও বেশি, তাই তিনি সংসার সামলাতে আপনার থেকে বেশি দক্ষ হবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এ কথা মাঝে মাঝে মেনে নিলে ক্ষতি নেই। শাশুড়ির প্রতি সম্মান শ্বশুরবাড়িতে আপনার জায়গা অনেক বেশি পোক্ত করবে।

Advertisement

২) আপনার কর্মক্ষেত্র নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ হচ্ছে? শাশুড়ি আগের প্রজন্মের মানুষ। তাই আপনার কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না-ও থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে মতবিরোধ হয় অনেক সময়। তাঁর কথা অবজ্ঞা না করে বরং কয়েক দিন আপনার কাজ, কর্মক্ষেত্র নিয়ে গল্প করুন শাশুড়ির সঙ্গে। বাইরের জগৎ সম্পর্কে শাশুড়ির ধারণা তৈরি করুন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

৩) বয়স হলে মানুষ অভিমানী হয়ে পড়েন। অল্পতেই তাঁরা রেগে যান, আবার অল্পতেই রাগ কমে যায়। এমনটা আপনার বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও হয় নিশ্চয়ই। শাশুড়ি কোনও কাজ করলে সমালোচনা না করে তাঁর প্রশংসা করুন। এতে তিনি উৎসাহিত হবেন। কোনও ভুল হলেও গল্পের ছলে সেই ভুল শুধরে দিন। একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বাড়লেই তো সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে।

৪) শাশুড়ির কোনও কথায় আঘাত পেলে সেই রাগ মনে পুষে রাখবেন না। কথায় কথায় শাশুড়িকে বুঝিয়ে দিন, আপনি তাঁর কথায় কষ্ট পেয়েছেন। তবে ঝগড়া-অশান্তির ছলে নয়, শান্ত ভাবে আপনার সমস্যার কথা ওঁকে জানান। আপনার কোনও কথা ওঁর খারাপ লাগলেও ওঁকে জানাতে বলুন। এ ভাবেই সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

৫) শাশুড়ির পছন্দের বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন। তাঁর পছন্দের রান্না, অসুস্থতায় যত্ন করা, তাঁর জন্মদিনটা একটু অন্য রকম ভাবে পালন করা— আপনার এই ছোট ছোট প্রয়াসগুলিই ওঁর মনে জায়গা করে নেবে। দীর্ঘ দিন সংসারের টানাপড়েনের জেরে অনেকেই খিটখিটে হয়ে যান, কিন্তু ওঁর কথাও কেউ ভাবছে দেখলে তিনি খুশিই হবেন। সকলে মিলে গল্প করুন, সময় দিন শাশুড়িকে। ছেলেকেও বলুন মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে। মা-ছেলের সম্পর্কের মধ্যে না পড়াই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement