বিয়ের দিনটিকে তাই হাসি-ঠাট্টায় ভরিয়ে তুলতে হবু স্ত্রীকে চমকে দিলেন বর। ছবি- প্রতীকী
সম্বন্ধ করে হোক বা প্রেম করে— বিয়ের দিন অল্প হলেও মানসিক চাপ সকলের মধ্যেই কাজ করে। দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কের পরেও বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে বুক ঢিপঢিপ করে না, এ কথা অস্বীকার করা যায় না। বিয়ের দিনটিকে তাই হাসি-ঠাট্টায় ভরিয়ে তুলতে হবু স্ত্রীকে চমকে দিলেন বর।
হায়দরাবাদ নিবাসী কৃষ্ণ ভার্ষাণি। কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেছেন প্রেমিকাকে। বিয়ের দিনে কী ভাবে হবু স্ত্রীকে চমকে দেওয়া যায়, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। বরের কাছ থেকে এমন অকল্পনীয় উপহার পেয়ে অবশ্য সত্যিই চমকে গিয়েছেন কনেও।
বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিতরা তত ক্ষণে আসতে শুরু করে দিয়েছেন। বর-সহ বরযাত্রীও চলে এসেছে। হঠাৎ শোনা গেল বরমাল্য অর্থাৎ বরের গলার মালাটিই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! একেবারে উধাও। শত খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কনে। কী করবেন, বুঝে উঠতে না পেরে হাত-পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসলেন।
এমন সময়ে একটি বড় বাক্স হাতে বিয়ের আসরে প্রবেশ করেন অনলাইন বিপণন সংস্থার এক কর্মী। বাক্সটি থেকে বেরোয় নতুন একটি মালা। পাশে দাঁড়িয়ে তখন মিটিমিটি হাসছেন বর। কনে অবশ্য হবু স্বামীর রসিকতায় বেশ রেগে গিয়েছেন। তবে মজাও পেয়েছেন। সব শেষে কৃষ্ণ নিজেই পুরো বিষয়টি খোলসা করেন।
হবু স্ত্রীয়ের সঙ্গে মজা করতে কৃষ্ণ নিজে মালাটি আগেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। মালার বরাতও দেওয়া ছিল। কোথায়, কখন সেটি পৌঁছতে হবে তা-ও সেই বিপণন সংস্থাকে বলে রেখেছিলেন তিনি। পরিকল্পনা মতোই এগোয় পুরো বিষয়টি। সেই মালা কনের গলায় পরিয়ে সাত পাকে ঘোরেন দু’জনে।
গোটা ঘটনাটি নিমন্ত্রিতদের মধ্যে কোনও এক জন ভিডিয়ো করে নেটমাধ্যমে সেটি ছড়িয়ে দেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। অনেকেই মজা পেয়েছেন ভিডিয়োটি দেখে। আবার কেউ কেউ লিখেছেন, ‘বিয়ের মতো এমন বিশেষ দিনে কনেকে চিন্তায় ফেলা ঠিক হয়নি।’ কেউ আবার বলেছেন, ‘ অন্য ভাবেও মজা করা যেত’।