স্ত্রীকে এইচআইভি এড্স সংক্রামিত ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি
বিবাহবিচ্ছেদ চাইছিলেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তাঁকে এইচআইভি এড্স সংক্রামিত ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্ধ্রপ্রদেশের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম এম চরণ। বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তি অন্ধ্রের তেড়েপল্লির বাসিন্দা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী।
নির্যাতিতার অভিযোগ, সহজে ডিভোর্স পাওয়ার জন্যই ষড়যন্ত্র করেছেন স্বামী। তবে প্রথম থেকে কোনও সমস্যা ছিল না। বিয়ের প্রথম কয়েক বছর সম্পর্ক ভালই ছিল বলে দাবি মহিলার। সে সময়ে একটি কন্যাসন্তানও হয় তাঁদের। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে বদলে যায় পরিস্থিতি। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুত্রসন্তানের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। মহিলার বাড়ি থেকে পণ চাওয়াও শুরু করেন। মহিলার আরও অভিযোগ, সম্প্রতি বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা এক ২১ বছর বয়সে তরুণীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয় স্বামীর। আর তার পরেই বিবাহবিচ্ছেদের পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি।
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর যখন তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন ধরা পড়ে এইচআইভি পজিটিভ অভিযোগকারীণী। প্রতীকী ছবি
অভিযোগকারীণীর দাবি, কিছু দিন আগে তিনি অসুস্থ বোধ করায় স্বামী তাঁকে এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। সেখানেই স্বাস্থ্যোন্নতির আশা দেখিয়ে দেওয়া হয় ইঞ্জেকশন। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর যখন তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন ধরা পড়ে এইচআইভি পজিটিভ তিনি। মহিলার অভিযোগ, হাতুড়ে ডাক্তারের সহায়তায় তাঁর স্বামীই এইচআইভি সংক্রমিত ইঞ্জেকশন দিয়েছেন তাঁকে। বিবাহবিচ্ছেদে সুবিধা হবে বলেই এমন পরিকল্পনা ছকেছেন স্বামী, দাবি তাঁর। শুক্রবার এই মর্মে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার পর তাঁর স্বামী এম চরণকে গ্রেফতার করা হয়েছে।