অতিরিক্ত পর্ন দেখলে অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতা দেখা দেয় বহু মানুষের মধ্যে। ছবি: শাটারস্টক।
নীলছবি দেখার অভ্যাস যৌন জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে, তা জানতে সমীক্ষা চালায় আমেরিকার উটার ব্রিঘাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সব যুগল নিয়মিত পর্ন ছবি দেখেন, তাঁদের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শুধু তা-ই নয়, এই অভ্যাসের ফলে সঙ্গমের সময় শারীরিক সন্তুষ্টির ঘাটতিও হতে পারে।
সম্পর্কে রয়েছেন এমন সাড়ে তিন হাজার জনকে নিয়ে এই সমীক্ষা চালানো হয়। গবেষণা পত্রের প্রধান লেখক, মরমন ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ফ্যামিলি লাইফের অধ্যাপক ব্রায়ান জে উইলবি বলেন, ‘‘পর্ন দেখার অভ্যাস সম্পর্কের উপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে, প্রত্যেকটি দম্পতিকে তা জানানো উচিত। যে সব পর্ন ছবিতে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে সঙ্গম দেখানো হয় শুধু সেগুলিই যে সম্পর্কের ক্ষতি করছে তা নয়, সাধারণ নীলছবিও সম্পর্কের বাঁধন আলগা করার জন্য দায়ী। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে কল্পনা ও বাস্তবের মাঝে ফারাক করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। এর জেরে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। আর এই সবের প্রভাব পড়ে যৌন জীবনের উপর।’’
অতিরিক্ত পর্ন দেখলে নেশা হয়ে যেতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
অতিরিক্ত পর্ন দেখার অভ্যাস আর কোন কোন সমস্যা ডেকে আনে?
১) এর জেরে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে শিথিল যৌনাঙ্গের সমস্যা। পর্ন দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে সঙ্গমকালে বিশেষ সুখ হয় না অনেকের। কারণ বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।
২) অতিরিক্ত পর্ন দেখলে নেশা হয়ে যেতে পারে। সেই আসক্তি ছাড়াতে সমস্যা হয়। যৌনজীবনের পাশাপাশি রোজের কাজকর্মেও এর প্রভাব পড়ে।
৩) মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে এই আসক্তির প্রভাব অনেকটা মদের নেশার মতো। অতিরিক্ত পর্ন দেখলে অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতা দেখা দেয় বহু মানুষের মধ্যে। প্রভাব পড়তে পারে সঙ্গীর উপরেও।
৪) অতিরিক্ত পর্ন দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। তার ফলে যৌনবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়।