প্রেমের টানেই পাড়ি। প্রতীকী ছবি।
শিক্ষিকা আর ছাত্রের সম্পর্ক হলেও স্কুলে পড়াশোনার ফাঁকে মন দিয়েছিলেন একে অপরকে। কিন্তু এই প্রেম সমাজ এবং পরিবারের সদস্যরা মেনে নেবে না। সেই আশঙ্কায় দশম শ্রেণির ছাত্রের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সি শিক্ষিকা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা প়ড়লেন যুগলে। ঘটনাস্থল হায়দরাবাদ।
বছর তিনেক আগে হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে যোগ দেন ওই শিক্ষিকা। তিনি মূলত নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রদের পড়াতেন। ওই ছাত্র গত বছরই দশম শ্রেণিতে উঠেছে। প্রথম থেকেই দু’জনের মধ্যে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। ক্লাসের বাকি ছাত্রদেরও দু’জনের এই বন্ধুত্ব চোখ এড়ায়নি। তবে সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। কিন্তু ছাত্র এবং শিক্ষিকার প্রেমের আভাস স্কুলের বাকিরা কেউ পায়নি। কিন্তু এই সম্পর্ক যে কেউ মেনে নেবে না, তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন দু’জনে। প্রেমের কথা জানাজানি হলে তার ফলও যে ভাল হবে না, তা বুঝেছিলেন ওই শিক্ষিকা। তাই পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত মাসের শেষের দিকে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন দু’জনে। তার পর থেকেই নিঁখোজ হয়ে যান তাঁরা। ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও বাড়ি না ফেরায় দু’জনের বাড়ি থেকেই স্কুলে খোঁজ নিতে আসতেই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। শিক্ষিকা এবং ওই ছাত্রের বাড়ির সদস্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান। ছাত্রটি নাবালক হওয়ায় তার বাড়ির লোকজন ওই শিক্ষিকার নামে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের তৎপরতায় এক দিন পরে গাছিবলি নামে একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের। তবে জেরায় অবশ্য দু’জনেই, প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। একসঙ্গে থাকবেন বলেই পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান ওই শিক্ষিকা।