ঠাঁই হয়েছে শেডের তলায়। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে সোহম গুহর তোলা ছবি।
হাসপাতালে চলছে সংস্কারের কাজ। বাড়ানো হচ্ছে শয্যা সংখ্যা, তৈরি হচ্ছে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট। তাই রোগীদের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের খোলা চত্বরে। দিনে রাতে মাথার উপর শুধু একটা টিনের ছাউনি।
কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে গত তিনদিনে চার-পাঁচ জন রোগীকে রাখা হয়েছে মূল ভবন থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে যাওয়ার পথে। সঙ্গে রয়েছেন তাঁদের পরিজনেরাও। প্রায় ১৫-১৬টি শয্যা ঘরের বাইরে রেখে দেওয়া হয়েছে। সেখানেই ঠাঁই হয়েছে ওই চার-পাঁচ জনের।
রোগীরাই জানিয়েছেন, ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস থেকে বলা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হলে এ ভাবেই থাকতে হবে। না হলে অন্যত্র ব্যবস্থা করতে হবে।
ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল হাসপাতালের মেরামত ও সংস্কারের কাজের জন্য প্রায় ৭০-৮০ জন পুরুষ রোগীকে রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও নার্সিং ট্রেনিং হস্টেলে। বাকি ১৫-১৬টি শয্যা রাখা হয়েছে খোলা জায়গায়। বাধ্য হয়েই কয়েকজন রোগীকে রাখতে হয়েছে সেখানে।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন হাসপাতাল সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতাল সংস্কারের কাজ চলছে। জায়গার অভাবে রোগীদের রাখা যাচ্ছে না। আবার ফিরিয়েও তো দেওয়া যায় না। তাই এ ভাবে রাখা ছাড়া আর উপায় ছিল না।’’ তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, ‘‘বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’