মুড়িঘণ্ট ছবি: সংগৃহীত
সাবেকি রান্না খেতে কে না ভালবাসে! কিন্তু হালে বাড়িতে সাবেকি পদ বানানোর অভ্যেস যে চলে যাচ্ছে! ঠাকুরমা-দিদিমারা যে পদগুলো খুব ভাল রাঁধতেন, এখন তার স্বাদ পেতে বাঙালি রেস্তরাঁর শরণ নিতে হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও কথাটা সত্যি। ধরুন আপনার বাবা যে পদ খেতে ভালবাসতেন, সেটা আর বাড়িতে সে ভাবে বানানোই হয় না!এবার পিতৃদিবসে আপনি বরং এই রকম পদ বানানোর চেষ্টা করুন, একটু চমকও থাক! ঠাকুরমা-দিদিমার হাতের মন্ত্রগুপ্তি হয়তো আপনার জানা নয়, তবু কে বলতে পারে আপনার রান্নার স্বাদ হয়তো মুখে লেগে থাকার মতোই হল।
পিতৃদিবসে বাবার জন্য বানাতে পারেন এই রকম ২টো সাবেকি পদ।
মুড়িঘণ্ট
উপকরণ:
রুই মাছের মাথা: ১টি
গোবিন্দভোগ চাল: ৩ টেবল চামচ
আলু: ২ টো (ডুমো ডুমো করে কাটা)
ধনে বাটা: ১ চা চামচ
জিরে বাটা: ১ চা চামচ
হলুদগুঁড়ো: ১ চা চামচ
লঙ্কা বাটা: ১/২ টেবল চামচ
সরষের তেল: ২-৩ টেবল চামচ
ঘি: ১ টেবল চামচ
তেজপাতা: ৩টি
শুকনো লঙ্কা: ২টি
গরমমশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
চিনি: ১ চা চামচ
নুন: স্বাদমতো
প্রণালী
কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে মাছের মাথা ভেজে তুলে রেখে দিন। ভাজা হয়ে গেলে মাছের মুড়োটা ভেঙে নিয়ে রেখে দিন। এবার সিদ্ধ করে রাখা আলু ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে আলাদা পাত্রে তুলে রেখে দিন। এবার আর একটু তেল দিন। তারপর জিরে বাটা, ধনে বাটা, লঙ্কা বাটা দিয়ে ভাল করে কষতে থাকুন। এরপর ভিজিয়ে রাখা চালটা দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ কষানোর পর ভাজা মুড়ো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর নুন ও চিনি দিয়ে দিয়ে চাপা দিয়ে দিন। চাল সিদ্ধ হয়ে এলে এবং জল মরে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। অন্য একটি কড়াইতে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। অন্য কড়াই থেকে মুড়িঘণ্টটি নামিয়ে এর সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এবার ভাজা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে খানিকক্ষণ কষিয়ে নিন। এবার উপরে গরমমশলা ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
শুক্তো
শুক্তো
উপকরণ
করলা: ১টি (সরু করে কাটা)
বেগুন: ১ কাপ (ডুমো করে কাটা)
কুমড়ো: ১ কাপ (ডুমো করে কাটা)
রাঙা আলু: ১টি (ডুমো করে কাটা)
সজনে ডাঁটা: ৬টি
ঝিঙে: ১/২ কাপ
কাঁচকলা: ১/২ কাপ
পেঁপে: ১/২ কাপ
পোস্ত বাটা: ১ টেবল চামচ
সরষে বাটা: ১/২ টেবল চামচ
আদা বাটা: ১ টেবল চামচ
দুধ: ১/২ কাপ
হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
রাঁধুনি: ১ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা: ২টি
তেজপাতা: ২টি
সরষের তেল: ২ টেবল চামচ
ঘি: ১ টেবল চামচ
বড়ি: ১০-১২টি
চিনি: ১ টেবল চামচ
নুন: স্বাদমতো
প্রণালী
কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে বড়িগুলো দিয়ে দিন। বড়ি বাদামি হয়ে গেলে ভাজা বড়িগুলো আলাদা পাত্রে তুলে রেখে দিন। এবার তেলে করলাগুলো দিয়ে দিন। করলা ভাজা হয়ে গেলে আলাদা পাত্রে সরিয়ে রেখে দিন। এবার কড়াইতে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ও রাঁধুনি ফোড়ন দিয়ে দিন। গন্ধ বার হলে বাকি সবজিগুলো দিয়ে ভাজতে থাকুন। ভাজা হয়ে গেলে হলুদ ও নুন দিয়ে মিনিট খানেক কষুন। কষা হয়ে গেলে তাতে পোস্ত বাটা ও সরষে বাটা দিয়ে দিন। খানিকক্ষণ কষানোর পর জিরেগুঁড়ো ও চিনি ছড়িয়ে দিন। এবার সামান্য জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। সবজি সিদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা বড়ি, করলা দিয়ে দিন। এরপর আদা বাটা দিয়ে দিন। খানিকক্ষণ কষানোর পর দুধ দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর উপরে ঘি ছড়িয়ে চাপা দিয়ে দিন। হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।