QR Code-Enabled Pendants

পথভোলাদের জন্য এল নতুন ‘গয়না’, গলায় ঝোলালে বাড়ি ফিরতে বাধ্য

স্ক্যান করলেই স্মৃতি হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাবে। মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুর রোগের প্রভাবে নিজের নাম, ঠিকানা ভুলে যাওয়া রোগীদের প্রিয়জনের কাছে ফেরাতেই বিশেষ ব্যবস্থার প্রচলন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:১৪
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কিছু দিন আগে পর্যন্ত দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করতে বা রেস্তরাঁয় গিয়ে বিল দিতে ব্যাগ থেকে ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডটি বার করতে হত। কিন্তু এখন সেই অভ্যাসেও বদল এসেছে। টাকাপয়সা আদানপ্রদানের কাজটি অনেক ক্ষেত্রেই সহজ করে দিয়েছে কিউআর কোড। এক ফোন থেকে অন্য ফোনে বিশেষ এই কোডটি স্ক্যান করলেই ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য চলে আসে। ফলে টাকা পাঠানোর কাজটি সহজ হয়। এ বার সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ঘরহারাদের পরিজনের কাছে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এই কিউআর কোড। মুম্বইয়ের বাসিন্দা, পেশায় ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, বছর ২৪-এর অক্ষয় রিডলান এই পুরো পদ্ধতিটির কাণ্ডারী। তিনি বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তির গলায় লকেটের মতো ঝুলিয়ে রাখতে হবে এই কোডটি। ওই ব্যক্তির নাম, বাড়ির ঠিকানা, রক্তের গ্রুপ এবং পরিচিত কারও ফোন নম্বর দেওয়া থাকবে সেখানে। কোনও কারণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরার পথ খুঁজে না পেলে বা নিজের নাম, ঠিকানা বলতে না পারলে, পুলিশ কিংবা সাহায্যকারী নিজের ফোনে ওই ব্যক্তির কিউআর কোড স্ক্যান করলেই যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।”

Advertisement

মস্তিষ্কের জটিল স্নায়ুর রোগ ডিমেনশিয়া। মধ্যবয়সে সাধারণ কিছু বিষয় ভুলে যাওয়ার লক্ষণই বুড়ো বয়সে বৃহৎ আকার ধারণ করে এই রোগে আক্রান্ত হলে। কাছের মানুষদের চিনতে না পারা, নিজের নাম ভুলে যাওয়া কিংবা বাইরে বেরিয়ে আর বাড়ি চিনতে না পারার মতো সাংঘাতিক কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরবর্তী কালে তা পার্কিনসন্সের দিকেও মোড় নেয় কারও কারও ক্ষেত্রে। তবে শুধু ডিমেনশিয়া, পার্কিনসন্স, অ্যালঝাইমার্স বা স্কিৎজ়োফ্রেনিয়া নয়, বিশেষ ভাবে সক্ষম, বৃদ্ধ, শারীরিক ভাবে সচল নয়— এমন নাগরিকদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে বিশেষ এই লকেট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement