পড়া মনে থাকবে কোন কৌশলে? ছবি: সংগৃহীত।
ক্লাস এইটের শ্রমণা। পড়াশোনায় তুখোড় না হলেও, বাবা-মায়ের মনমতো রেজাল্ট করে সে। তবে ইদানীং তার একটা সমস্যা হচ্ছে। স্কুল না থাকলে সারা ক্ষণই বইয়ে মুখ গুঁজে থাকে। গৃহশিক্ষকের দেওয়া বড় বড় নোট্সও মুখস্থ করে ফেলে অল্প সময়ের মধ্যে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই মাথা থেকে সব কিছু ম্যাজিকের মতো উবে যায়। খাতা খুলে না দেখলে একটা শব্দও মনে পড়ছে না। এর ফলে একই বিষয় দু’বার করে পড়ার জন্য সময় নষ্ট হচ্ছে। মুখস্থ করেও পড়া মনে রাখতে না পারার সমস্যা অনেকেরই আছে। এর কিছু কৌশল আছে। সেগুলি মেনে চললে বার বার মুখস্থ করার দরকার পড়বে না।
বুঝে পড়া
মুখস্থ বিদ্যা থাকা খারাপ নয়। তবে এই ক্ষমতার সুবিধা যেমন আছে, তেমনই অসুবিধাও রয়েছে। বিষয়ের গভীরে না গিয়ে শুধু একটানা মুখস্থ করে গেলে ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সব সময় বুঝে পড়া জরুরি। বিষয়টি এক বার মাথায় গেঁথে গেলে মুখস্থ করারও দরকার পড়ে না।
বার বার পড়া
মুখস্থ হয়ে গিয়েছে মানে আর পড়ার দরকার নেই। এই ধারণা প্রথমেই মন থেকে ঝেড়ে ফেলা জরুরি। সাময়িক মুখস্থ হলেও, পরে মাথা থেকে বেরিয়ে যেতেই পারে। তাই প্রতিটি শব্দ যদি মন দিয়ে পড়া যায়, তা হলে অসুবিধা হবে না।
কল্পনা করে পড়া
জোর করে মুখস্থ না করে, একটু মজা করে পড়া যেতে পারে। বইয়ের পাতায় যা লেখা আছে, পড়তে গিয়ে সেটা যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তা হলে অনেক পুরনো পড়াও মনে থেকে যাবে।
মুখস্থ করে লেখা
পড়া মনে রাখার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় লেখা। মুখস্থ করার পরেই খাতায় লিখে ফেললে ভুলে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। লিখে লিখে পড়লে অনেক দিন পর্যন্ত পড়া মনে থাকে। তাই লিখে পড়ার কোনও বিকল্প নেই।
পর্যাপ্ত ঘুম
পড়া স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ঘুম ঠিক করে না হলে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়। এক নিমেষে সব উবে যায়। শত চেষ্টাতেও মনে পড়ে না ঝরঝরে মুখস্থ পড়া। তাই ঘুমোনো প্রয়োজন।