মেদ ঝরানো ও সার্বিক সুস্থতা, শরীরের যত্নে দুই-ই প্রয়োজনীয়। ওবেসিটি নানা ধরনের অসুখ ডেকে আনে, তাই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার পরামর্শই দেন চিকিৎসকরা। তবে শুধু মেদ ঝরালেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। সার্বিক সুস্থতাও খুব দরকারি। তাই নিয়ম মেনে চলা, শরীরের উপর অত্যাচার না করে তাকে ঠিকঠাক ডায়েট ও শারীরিক কসরতে বেঁধে ফেলাটা আদ্যন্ত জরুরি।
সম্প্রতি একটি হেলথ জার্নালে সার্বিক সুস্থতা নিয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা তাঁদের মত প্রকাশ করেছেন। ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবিটিস বা ওবেসিটির সমস্যায় আক্রান্তদের সুস্থ থাকতে ব্যাডমিন্টন খেলায় আস্থা রাখতে বলছেন তাঁরা। কিন্তু সব খেলা ছেড়ে হঠাৎ ব্যাডমিন্টন কেন?
গবেষকদের মতে, এর প্রধান কারণ শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি। এই খেলায় যেহেতু গোটা শরীরের পেশীর সঞ্চালন হয়, তাই পেশীর জোর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থিসন্ধিগুলোও ভাল থাকে। শরীরে ব্যালান্স আসে, শাটল ককের উপর চোখ রাখতে রাখতে একাগ্রতা আসে, দৃষ্টিশক্তির জোরও বাড়ে। অন্যান্য দৌড়ঝাঁপের খেলাও শরীরের জন্য ভাল, তবে ব্যাডমিন্টন বা টেনিসের উপকারিতা বেশি, কারণ, এই ধরনের খেলায় গোটা শরীরের নড়াচড়া বেশি হয়। তাঁদের মতে, এই সব খেলা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলা না গেলেও খুব ছুটোছুটিও করতে হয় না, তাই অল্পস্বল্প হাড়ে ব্যথার রোগীরাও এই খেলা খেলতে পারেন।
আরও পড়ুন: গর্ভাবস্থায় এই সব ভুল ভুলেও নয়, নইলে বিপদে পড়বেন ভাবী মা ও শিশু
আরও পড়ুন: শীতে অনিয়মে বেড়েছে ওজন? এই ক’টা নিয়ম মানলেই ঝরবে মেদ, কমবে ভুঁড়ি
ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুকোমল সেনও গবেষকদের সঙ্গে একমত। তাঁর মতে, ‘‘ব্যাডমিন্টন সারা বছরই খেলা যায়, তাই সারা দিনে সময় করে মিনিট ১৫ এই খেলা খেললে আলাদা করে আর কোনও শারীরিক কসরতের প্রয়োজন পড়ে না। এই খেলায় হাত, পেট, কোমর ও পায়ের পেশীগুলো বেশি শক্তিশালী হয়। ফিমারেরও জোর বাড়ে। যাঁরা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, স্নায়ুর শক্তি বাড়ালে সে ব্যথা অতটা কাবু করতে পারেন না। তাই অল্পস্বল্প ব্যথা থাকলে এই খেলা খেললে সে ব্যথা কমার সম্ভাবনা বেশি।’’
শুধু শরীরের দেখভালই নয়, এই খেলা কিন্তু বন্ধুত্বকেও আর একটু ঝালিয়ে দিতে পারে। একা খেলা যায় না ব্যাডমিন্টন। তাই খেলতে শুরু করলে নতুন কোনও সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার দিকটাও অবহেলা করা যায় না কিন্তু!