প্রতীকী ছবি।
নিশ্বাস থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে প্রতিনিয়তই বেশ সতর্ক থাকতে হয়। মুখ থেকে যাতে গন্ধ পাশের মানুষের কাছে না পৌঁছয়, তার জন্য অনেকেই মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা তো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। এদিকে বিশ্বের প্রায় ৮ কোটি মানুষ ‘হ্যালিটোসিস’ নামক এই সমস্যায় ভুগছেন। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে কিছু জিনিস মেনে চলা দরকার।
দিনে দু’বার দাঁত মাজুন
দাঁতের মধ্যে জমে থাকা খাবারের টুকরো থেকেও এই সমস্যা মাথাচাড়া দিতে পারে। তাই দাঁত পরিষ্কার রাখুন। দিনে অন্তত দু’বার করে দাঁত মাজুন। অনেক দিন এক ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। তিন মাস অন্তর ব্রাশ বদলে নিন।
প্রতীকী ছবি।
গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি করুন
গ্রিন টিতে রয়েছে এমন উপাদান, যা বেশ খানিকটা সময় নিশ্বাসের দুর্গন্ধকে প্রতিহত করতে পারে। গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি নাশ হয়।
ফ্লস ব্যবহার করুন
ব্রাশও অনেক সময় যে সমস্ত খাবারের কণা দাঁত থেকে বার করতে পারে না, তা ফ্লস দিয়ে করা সম্ভব। ফলে এটা ব্যবহার করলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
তামাক জাতীয় খাবার এড়ান
ধূমপান করলে নিশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়ে। তামাক মুখের ভিতরটা শুকিয়ে দেয় এবং যার ফলে মুখ থেকে এক ধরনের গন্ধ ছাড়ে, দাঁত মাজার পরেও যা থাকতে পারে। কাজেই তামাকজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।
লবঙ্গ বা মৌরি মুখে রাখুন
নিশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা থাকলে জিভও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। পাশাপাশি মুখে লবঙ্গ বা মৌরি পুরে রাখুন, এতে মুখের দুর্গন্ধের সমস্যা কমবে।
জল খান
প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া দরকার। কারণ মুখের ভিতর শুকিয়ে গেলেই তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর প্রবণতা তৈরি হয়। তাই এই সমস্যা এড়াতে জল খান। জল খেলে মুখে কোনও খাবারের কণা বা টুকরো থাকলে, জলের সঙ্গে সেটাও বেরিয়ে যাবে।