জেই-তে ফের মৃত্যু মেডিক্যালে

জাপানি এনসেফ্যালাইটিস (জেই) এবং অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের (এইএস) উপসর্গ নিয়ে এখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন রোগীরা। মঙ্গলবার রাতে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩২
Share:

জাপানি এনসেফ্যালাইটিস (জেই) এবং অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিসের (এইএস) উপসর্গ নিয়ে এখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসছেন রোগীরা। মঙ্গলবার রাতে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রামদেও ওঁরাও (৫০)। বাড়ি মালবাজারে। জেই-র উপসর্গ নিয়ে সম্প্রতি তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অন্তত ১২ জন এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে সিসিইউ’তে রয়েছেন ৬ জন। এইএস ওয়ার্ডে রয়েছেন অন্তত ২ জন। শিশু বিভাগে এবং মেডিক্যাল বিভাগে ৪ জন করে রোগী রয়েছেন।

Advertisement

এবছর এখনও পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জেই এবং এইএস-এ আক্রান্ত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ২২ জন জেই আক্রান্ত। বাকিরা এইএসে আক্রান্ত। এ দিকে চিকিৎসা নিয়ে অনুযোগ এখনও অপরিবর্তিত। জেলার কয়েকটি হাসপাতালে জেই নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা হলেও অনেক জায়গা থেকেই রক্তের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে। তা নিয়েও সমস্যা বেড়েছে। তাতে রক্তের নমুনা পর্যাপ্ত না হলে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে না। জেলাগুলিতে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট যেতে দেরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা এখনও হয়নি। রোগীদের একাংশকে এখনও জল কিনে খেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অনেক দুঃস্থ পরিবারের সদস্যদের। ওই ওয়ার্ডের শৌচালয়ও অপরিষ্কার বলে অভিযোগ। অনেক রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনেও খেতে হচ্ছে। তা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে যে সমস্ত রোগীর বাড়ির লোকজন ওষুধ কিনেছেন তাঁরা আবেদন করে সেই সমস্ত টাকা ফেরত পেয়েছেন। জেই বা এইএস রোগীদের সমস্ত চিকিৎসার খরচ মিলছে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বর দীর্ঘদিন ধরেই অপরিষ্কার হয়ে পড়ে রয়েছে। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক এবং তার পরেও এনসেফ্যালাইটিস প্রতিরোধে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব জরুরি বৈঠক করে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করার নির্দেশ দিলেও সেই কাজ হয়নি। ওয়ার্ডের জানলা দিয়ে বাইরে জমে থাকা আবর্জনার গন্ধ আসছে। তা নিয়েও অভিযোগ করেন রোগীদের কয়েকজন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement