প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
বর্ষাকালে তেল মশলাদার খাবারের দিকে ঝোঁক বেশি থাকে। কিন্তু বদহজমের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যখন, তখন আমাদের হুঁশ ফেরে। আসলে এই সময় শরীরের বিপাকের হার কম থাকে, তাই নানা রকম রোগ বাসা বাঁধতে পারে। জ্বর-সর্দি-ঠান্ডা লাগার মতো এই মরশুমি অসুখ থেকে একমাত্র আপনাকে বাঁচাতে পারে যথাযথ পুষ্টিকর খাবার। রাস্তার খাবার বাদ দিন এবং জল ফুটিয়ে খাওয়া শুরু করুন আজ থেকেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী ধরনের খাবার খাওয়া দরকার, জেনে নিন।
গরম স্যুপ
হালকা খাবার খেতে চাইছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য স্যুপ আদর্শ। এই খাবার শরীরে জলের মাত্রা বাড়ায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার সাধারণ জ্বর-ঠান্ডা লাগা প্রতিহত করতে সহায়ক। নাক বুঁজে যাওয়ার সমস্যা থাকলে স্যুপ খেলে সমস্যা কমবে। ঘন ঘন কাশি হলেও স্যুপ খেলে গলায় আরাম পাবেন। স্যুপে ব্যবহৃত রসুন আলসার, পাকস্থলির ক্যানসার প্রতিহত করতেও সহায়তা করে।
দই
দইয়ে রয়েছে উপকারী ব্যাকটিরিয়া, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। রোগের সঙ্গে লড়তেও এই খাবারের কোনও তুলনা নেই। দই ও ফলের টুকরো একসঙ্গে খেলে বহুমূত্ররোগের আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। দইয়ে ভিটামিন ডি থাকায়, তা ঠান্ডা লাগা ও জ্বর থেকে প্রতিহত করতে পারে।
শুকনো ফল ও বাদাম
কাঠবাদাম ও খেজুর রাখুন খাদ্যতালিকায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এই খাবারে শরীরের কোষের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। মানসিক চাপ কমাতে বাদাম খান। বাদাম ও শুকনো ফল মিশিয়ে খেলে তা কর্মশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
সবুজ শাক-সব্জি
বাঁধাকপি, পালং শাক, ব্রকোলি ভিটামিন এ, সি ও ই-র পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা কোষের জন্য ভাল। স্যুপ বা সালাডের সঙ্গে এই শাক-সব্জি রাখুন এই বর্ষার নিয়মিত খাদ্যতালিকায়।
মাশরুম
মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন বি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। শরীরে নানা সংক্রমণের আশঙ্কাও কমায়। মাশরুমে শরীরের প্রয়োজনীয় ১৭টি অ্যামিইনো অ্যাসিড থাকায়, এটি প্রোটিনের উৎস হিসেবে ভাল কাজ করে।
মাছ ও মাংস
যে কোনও ধরনের মাছ ও মাংস রাখুন খাদ্যতালিকায়। প্রত্যেকটি মাংসই প্রোটিন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ যা, শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রন্থিগুলোকে সারিয়ে তোলে। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তেও সহায়তা করে। মাংসে রয়েছে ভিটামিন, জিঙ্ক ও আয়রন এবং মাছে রয়েছে ওমেগা-থ্রি, এগুলো শরীরে বিশেষভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।