জেলযাপন নিয়ে অকপট মডেল। প্রতীকী ছবি।
মাদকদ্রব্য পাচার করার অপরাধে জেলে খেটেছেন ৪ বছর। মুক্তির পর সেই জেলযাপনের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন ২৬ বছর বয়সি মডেল তেরেজ়া হ্লুসকোভা।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ৮.৫ কেজি মাদক নিয়ে লাহোরের আলাম্মা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েছিলেন তেরেজ়া। সে সময়ে তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর। ২০১৯ সালে তেরেজ়ার সাজা ঘোষণা হয়। আট বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু বহু বার বিভিন্ন ভাবে মুক্তির আবেদন করায় গত বছর মুক্তি দেওয়া তাঁকে।
তেরেজ়া জানান, জেলে থাকার সময়ে মনে হয়েছিল তিনি নরকে বাস করছেন। অন্য মহিলা বন্দিরা তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার করতেন। এমনকি, সহবন্দিরা তাঁকে মেরে ফেলতে পারেন, এমন আশঙ্কাও ছিল। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বেশ কিছু ভিডিয়োর মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তেরেজ়া।
স্কুল পাশ করার পর একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন তেরেজ়া। সেখানেই এক জন মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তিনি তেরেজ়াকে ‘এসকর্ট’ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তেরেজ়ার সেই সময়ে বেশ কিছু টাকার দরকার ছিল। তাই সে প্রস্তাব মেনে নিয়ে বেলজিয়ামে উড়ে গিয়েছিলেন। তেরেজ়া এই কাজের উপযুক্ত কি না, তা যাচাই করতে ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে তেরেজ়াকে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করেন। তেরেজ়া বুঝতে পেরেছিলেন যে পেশায় তিনি নিজের ইচ্ছেতেই পা রেখেছেন, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। তাই একটা ঘোরের মধ্যে থাকার জন্য মাদকদ্রব্য খেতে শুরু করেন তিনি।
তেরেজ়াকে পেশার সূত্রে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হত। তেমনই এক বার তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। যে ব্যক্তির মনোর়়ঞ্জন করার জন্য পাকিস্তান গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে তেরেজ়ার মনোমালিন্য হয়। তাই কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনি চলে আসেন। হোটেল থেকে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছতেই শুল্ক দফতরের কর্মীরা তাঁকে আটকান। তাঁর ব্যাগ ঘেঁটে বার করা হয় মাদক। তেরেজ়া মাদক খেতেন, কিন্তু সঙ্গে কখনও রাখতেন না। তাঁর ব্যাগে কী ভাবে সেদিন এই পরিমাণ মাদক আসল সেই রহস্যের আজও কোনও কিনারা করতে পারেননি তিনি।