ছবি: প্রতীকী।
ইউটিউবকে উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছেন অনেকেই। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ইউটিউবার হওয়ার ঝোঁক তৈরি হয়েছে। ইউটিউবার হওয়ার জন্য প্রথমেই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হয়। তার পর ভিডিয়ো বানিয়ে সেই চ্যানেলে রাখতে হয়।
সফল ইউটিউবারের মাপকাঠি হল সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা। চ্যানেলের গ্রাহকের সংখ্যা যত বেশি, সেই চ্যানেল তত জনপ্রিয়। মোট সাবস্ক্রাইবার একটি সংখ্যার সীমায় পৌঁছলে, ইউটিউব সংস্থা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটিকে টাকা দেয়। কিন্তু সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা এক দিনে হুহু করে বেড়ে যায় না। তার জন্য পরিশ্রম, ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনা থাকা জরুরি। তবে অনেকেই সেই ধৈর্য দেখাতে পারেন না। উতলা হয়ে পড়েন। তখন ভুলত্রুটি হয়ে যায়। যে কারণে সাফল্যের পথ অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। নতুন চ্যানেল তৈরির পর কোন ভুলগুলি করবেন না?
দর্শকের সংখ্যা নিয়ে ভাবনা
শুরুতেই আপনার চ্যানেলের ভিডিয়ো কেউ দেখবে না, সেটি মাথায় নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কয়েকটি ভিডিয়ো দিতে না দিতেই দর্শকসংখ্যা কেন বাড়ছে না, তা নিয়ে চিন্তা না করাই শ্রেয়। তা হলে আর এগোনো যাবে না। লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে, শুধু কাজ করে যেতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেলের কোনও শেষ নেই। এত চ্যানেলের ভিড়ে কেন আপনার তৈরি ভিডিয়ো দেখবেন, সেটি নিয়ে বরং ভাবনা জরুরি। দর্শক টানতে ভিডিয়োর বিষয়ের উপর জোর দিন। এমন কিছু বিষয় উপস্থাপন করুন, যাতে দর্শকের পছন্দ হয়।
কাজের প্রতি যত্নবান না হওয়া
হোক না প্রথম ভিডিয়ো, তবু তাতে যেন যত্নের কোনও ঘাটতি না থাকে। বিষয় যা-ই হোক, বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া জরুরি। প্রথম দিকে গ্রাহকের সংখ্যা বেশি না থাকার কারণে যেটি অনেকেই করেন না। ভিডিয়োর থাম্বনেল, টাইটেল যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়। দর্শকের চোখ টেনে নেয়, এমন মনোগ্রাহী করে তৈরি করতে হবে এগুলি। তা হলে দর্শকসংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে।
ভিডিয়োর শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ
ইঁদুরদৌড়ের যুগে ১৫-২০ মিনিটের ভিডিয়ো একটানা দেখার সময় নেই কারও হাতে। পরিচিত চ্যানেলের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা, কিন্তু নতুন চ্যানেলের ক্ষেত্রে প্রথম ৩০ সেকেন্ড সবচেয়ে জরুরি। এই সময়ের মধ্যে এমন কিছু দেখাতে হবে, যাতে সেই ভিডিয়োটি শেষ পর্যন্ত দেখার আগ্রহ তৈরি হয় দর্শকের মধ্যে। প্রথম ৩০ সেকেন্ডেই দর্শকের মন জিতে নিতে হবে। অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অনেকেই এটি বুঝতে পারেন না। তবে ভিডিয়ো তৈরির সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখলে উপকার হবে।