গতির পুজোয় চ্যাটজিপিটি। ছবি- সংগৃহীত
নিত্যদিনের কাজ কী ভাবে কম সময়ে আরও সহজ করে ফেলা যায়, তা নিয়ে গবেষণা চলে বিস্তর। সেখান থেকেই জন্ম হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তথ্যপ্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইদানীং এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ‘এআই’-এর ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বার সেই দলে যোগ দিল তথ্যপ্রযুক্তি জগতে বিখ্যাত নাম ‘মাইক্রোসফ্ট’। সেই মাইক্রোসফ্টেরই বিং এবং এজ় ব্রাউজ়ারকে আরও গতিময় করে তুলবে এই এআই ‘চ্যাটজিপিটি’।
চ্যাটজিপিটি কী?
চ্যাটজিটিপি বা ‘জেনারেটিভ প্রিট্রেনড ট্রান্সফর্মার’ হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বৃহত্তম একটি অদৃশ্য যন্ত্র। অনলাইনে যে কোনও ধরনের তথ্য খুঁজতে মুহূর্তের মধ্যে আকাশপাতাল এক করে ফেলে সেই তথ্য ব্যবহারকারীর সামনে তুলে ধরবে চ্যাটজিপিটি।
গত বছরের শেষের দিকে আত্মপ্রকাশ করলেও চ্যাটজিপিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করল হালে। মাইক্রোসফ্টের দাবি, তথ্য সন্ধানের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্রাউজ়ারের গতি আরও বাড়িয়ে আনার নিরন্তর চেষ্টা থেকেই এই ‘এআই’-এর জন্ম। সংস্থার সিইও সত্য নাদেলা বলেন, “সন্ধানের জগতে এই চ্যাটজিপিটি হল বিস্ময়ের আর এক নাম। গতিময় জীবনে আরও গতি এনে দিতে কাজ করবে এই প্রযুক্তি।”
এত দিন তথ্য অনুসন্ধান করতে বিভিন্ন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হত। এ বার শুধু অনুসন্ধান নয়, বিরাট বড় রচনা, কোনও কিছুর আবেদন, প্রতিবেদন, গান বা কবিতা লেখা— সবই অন্য কারও হয়ে করে ফেলতে পারে এই এআই। আবার সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রেও কিন্তু সমান তালে সাহায্য করতে পারে। তবে সব জিনিসেরই তো ভাল-মন্দ থাকে। এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক ভাবে অনেক কিছুই করে ফেলা যায়। যে হেতু সে অনেকটা মানুষের মতোই আচরণ করে, তাই তথ্য চুরির মতো ঘটনাও কিন্তু ঘটিয়ে ফেলতে পারে এই চ্যাটজিপিটি।