আপনি কি প্রায়ই অফিসে ওভারটাইম করেন? মনে করছেন আপনি খুবই পরিশ্রমী? জানেন কি, বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে যেখানে মানুষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কাজ করে? কাজের সময়ের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে কোন দেশ, আবার কোন দেশই বা রয়েছে পিছিয়ে— জানতে চোখ রাখুন গ্যালারির পাতায়।
প্রতি বছর গড় কাজের সময়ের নিরিখে বিশ্বব্যাপী এক সমীক্ষা চালায় অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। এই সমীক্ষায় ওইসি়ডি-র তালিকায় ছিল ৩৫টি দেশ। তবে এই ৩৫টি দেশের মধ্যে ভারত নেই। ২০১৭-১৮ সালের সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী মেক্সিকোর নাগরিকরা। আবার উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে জার্মানিতে। সেখানকার নাগরিকরা তুলনায় কম সময় কাজ করে।
ওইসিডি-র রিপোর্ট বলছে এক জন মেক্সিকান বছরে গড়ে ২ হাজার ২৫৫ ঘণ্টা কাজ করেন। উত্তর আমেরিকার এই দেশের নাগরিকেরাই নাকি সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী, এমনটাই বলছে ওইসিডি-র সমীক্ষা।
কাজের সময়ের নিরিখে ওইসিডি-র তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কোস্টা রিকা। মধ্য আমেরিকার এই দেশের নাগরিকরা বছরে গড়ে ২ হাজার ২১২ ঘণ্টা কাজ করেন। কোস্টা রিকাকে বিশ্বের ‘হ্যাপিয়েস্ট’ দেশের তকমাও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে ‘হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স’-এর র্যাঙ্কিং-এ ভিয়েতনাম, কলম্বিয়ার সঙ্গে কোস্টা রিকার নামও রয়েছে।
জানেন কি, ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে পরিশ্রমী গ্রিসের নাগরিকেরা। বছরে গড়ে ২ হাজার ৩৫ ঘণ্টা কাজ করেন এই দেশের মানুষ। ওইসিডি-র রিপোর্টে চতুর্থ স্থানে রয়েছে গ্রিস। তৃতীয় এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিলি।
ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রিটেনের নাগরিকেরা বছরে গড়ে ১৬৭৬ ঘণ্টা কাজ করেন। ব্রিটেন রয়েছে তালিকায় ২৬ নম্বরে। ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে গ্রিস এগিয়ে থাকলেও, পিছিয়ে রয়েছে সুইৎজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ এবং ফ্রান্স। এখানকার নাগরিকরা বছরে গড়ে ১ হাজার ৫০০ ঘণ্টা কাজ কাজ করেন।
ওইসিডি-র তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম। এখানকার নাগরিকেরা বছরে গড়ে ১৭৮৩ ঘণ্টা কাজ করেন।
প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকলেও জাপানের নাম ওইসিডি-র তালিকায় রয়েছে ২২ নম্বরে। এই দেশের নাগরিকেরা বছরে গড়ে ১৭১৩ ঘণ্টা কাজ করেন।
বছরে গড় কাজের সময়ের নিরিখে ওইসিডি-র তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং জার্মানি। জার্মানির নাগরিকেরা বছরে গড়ে ১৩৬৩ ঘণ্টা কাজ করেন।