কী ভাবে সতর্ক থাকবেন ‘সেক্সটরশন’ থেকে? ছবি-প্রতীকী
হালফিলে কেনাকাটা থেকে ব্যাঙ্কিং— সময় বাঁচাতে আমরা নেটমাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেটের উপর এই নির্ভরশীলতা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে প্রতারণার ঝুঁকি। বিভিন্ন কায়দায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই প্রতারকদের প্রধান লক্ষ্য। ইদানীং টাকা হাতানোর জন্য প্রতারকদের অন্যতম অস্ত্র ‘সেক্সটরশন’। যৌনতার ফাঁদ পেতে আপনাকে হুমকি দিয়ে হাতানোর চেষ্টা করে প্রতারকের দল। ‘সেক্সটরশন’ থেকে সাবধান করে সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সতর্কবার্তা জারি করল কলকাতা পুলিশ।
নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শহরবাসীকে এ বিষয়ে সজাগ করতে পোস্ট শেয়ার করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘ইংরেজিতে যাকে ‘এক্সটরশন’ অর্থাৎ, জোর করে আদায় করা বলে, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তা-ই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘সেক্সটরশন’-এ। যৌন প্রস্তাব দিয়ে তার ভিত্তিতে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়। এই নতুন ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে প্রথম ধাপ কোনও অচেনা নম্বর বা ব্যক্তির কাছ থেকে ভিডিয়ো কল এলে তা ধরবেন না। যদি আপনি পুরুষ হন, তবে মহিলা পরিচয় দিয়ে আপনার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাব জমাবে কোনও জালিয়াত।’
কী ভাবে শুরু হয় প্রতারণা?
কলকাতা পুলিশ বলেছে, ‘বেশ কয়েক দিন লাগাতার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমে চ্যাট করতে থাকবে সে। এর পর আসবে ভিডিয়ো কলে কথা বলার প্রস্তাব। আপনি রাজি হলে ভিডিয়ো কলে হয়তো দেখবেন, ক্যামেরায় ক্রমশ নিজেকে অনাবৃত করছে একটি মেয়ে। আপনি ভাববেন ভিডিয়ো কলে ঘটছে, আসলে আপনাকে স্রেফ একটি ভিডিয়ো দেখানো হচ্ছে। এবং স্ক্রিন রেকর্ডার ব্যবহার করে আপনার মুখও সেই ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখছে জালিয়াতরা। সেই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এ বার আপনার কাছে টাকা দাবি করবে দুষ্কৃতীরা। এমনও হতে পারে যে, বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসবে আপনার কাছে। অপর প্রান্তে থাকা কেউ বলবেন, তাঁরা পুলিশকর্মী এবং কিছু টাকা না দিলে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়ে যাবে।’ এ ভাবে বার বার টাকা আদায় করার চেষ্টার অভিযোগ পাচ্ছে পুলিশ।
সাবধান থাকবেন কী ভাবে?
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে ধরা প্রয়োজন নেই। এই ধরনের যে কোনও ঘটনা ঘটলে জালিয়াতদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার আগে নিকটবর্তী সাইবার শাখায় অভিযোগ জানাতে দ্বিধা বোধ না করাই ভাল।