ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হাই প্রোটিন ডায়েট। মাসল মাস বাড়ানোর জন্যও হোয়ে প্রোটিন, সয় প্রোটিনের দিকে ঝুঁকছে সকলে। তবে সব প্রোটিন কি ওজন কমাতে সাহায্য করে? প্রোটিন কত রকমের হয়? জেনে নিন।
হোয়ে প্রোটিন: স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হোয়ে প্রোটিন। খিদে কমাতে অত্যন্ত কার্যকর হোয়ে প্রোটিন।
প্রাণীজ ও উদ্বিজ্জ প্রোটিন: মাছ, মাংস, ডিম, চিকেন, বাদাম, দুধ, চিজ ডাল ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে উপকারি। সব রকম পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডের জোগান পায় শরীর।
সয় প্রোটিন: সয়াবিন থেকে উত্পন্ন সয় প্রোটিনে সব রকম এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। তবে সয় প্রোটিন ওজন কমাতে কার্যকর কিনা সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করে কিছু জানান না।
ক্যাসেইন প্রোটিন: দুগ্ধজাত এই প্রোটিনে প্রচুর পরিমাণ অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। হজম হতে সময় বেশি লাগায় পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পি প্রোটিন: এই ধরনের প্রোটিনে ডেয়ারি প্রোটিনের মতো প্রচুর পরিমাণ এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। যা অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। শারীরিক গঠনেও সাহায্য করে।
রাইস প্রোটিন: রাইস প্রোটিনে সব রকম এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে না। আবার অনেক সময়ই রাইস প্রোটিনের সঙ্গে পি প্রোটিন মেশানো থাকে। তবে হোয়ে প্রোটিনের মতো রাইস প্রোটিন ফ্যাট কমাতে ও লিন মাস বাড়াতে সাহায্য করে।
হেম্প প্রোটিন: এই উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবারে ভরপুর। কিন্তু এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড না থাকায় হেম্প প্রোটিন অসম্পূর্ণ।
বোন ব্রথ প্রোটিন: পশু-পাখির হাড় গরম জলে ফুটিয়ে এই প্রোটিন তৈরি করা হয়। এর ফলে হাড়ের পুষ্টিগুণ বেরিয়ে যায়। এই প্রোটিন তাই অসম্পূর্ণ প্রোটিন।