ভাইফোঁটায় ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও অমরত্ব, দীর্ঘায়ু ও নীরোগ জীবন কামনা করে থাকে বোনেরা।
বোনেরা আসন পেতে ভাইদের বসিয়ে কাজল দিয়ে সাজিয়ে ললাটে চন্দনের তিলক কেটে ‘যম’কে উদ্দেশ্য করে প্রার্থনা করে-
‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা
যমুনা দেয় ভাঁইকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাঁইকে ফোঁটা
যম যেমন অমর, আমার ভাইও যেন অমর হয়।’
ভাইফোঁটায় ভাইয়ের সুস্বাস্থ্য ও অমরত্ব, দীর্ঘায়ু ও নীরোগ জীবন কামনা করে থাকে বোনেরা। প্রদীপ দিয়ে আরতি করে। ওই দিনটিতে ভাইয়েরা বোনের কাছে দ্বিতীয় পূজ্য। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে এই সম্পর্কই যে অটুট বন্ধন হিসাবে পূজ্য, সে কথা প্রমাণিত।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় ছেলেদের ফ্যাশন সন্ধান শর্বরী’জ স্টুডিও থেকে
বর্তমানে প্রেমের দিন, বন্ধুত্বের দিন বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করে পালন করা হলেও যুগ-যুগ ধরে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিনটি ভাই-বোনের মিলনের দিন হিসাবে পালিত হয়ে আসছে একে অপরের মঙ্গল কামনায়।
বোনেরা নানারকম রান্না-বান্না করে, মিষ্টদ্রব্য খাইয়ে ভাইকে তৃপ্ত করে। আজকাল বাইরে হোটেলে খেয়ে, বেড়িয়ে ভাই- বোন ওই দিনটিকে পালন করে থাকে।
রেওয়াজ বা প্রথা যাই হোক, বর্তমানে হানাহানি, মারামারি, সংকীর্ণতা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তার মধ্যে এই বিশেষ দিনটিতে ভাই-বোনের সম্পর্কের এই মাধুর্য সত্যিই বিশেষ ভাবে উল্লেখ করার মতো।
আরও পড়ুন: দেওয়ালিতে সুরক্ষিত থাকতে কী কী করবেন?
আদিকাল থেকে ভাইকে নিয়ে বোনেদের এ প্রথা চলে আসছে। কিন্তু বর্তমানে পুজো হোক বা না হোক, তিলক দান ঘরে ঘরে দেখা যায়। ভাইদের মঙ্গল কামনায় বোনেদের এই এক ফোঁটা চন্দনের তিলকের মাহাত্ম্য অপরিসীম।