এপ্রিল ফুল ডে-র জন্ম সম্ভবত ১৫৮২ সালে। এই সময় থেকেই ফ্রান্স জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছর নির্ধারণ শুরু করে। তার আগে পর্যন্ত পয়লা জানুয়ারি নয়, বছরের ২৫ মার্চকে বছরের প্রথম দিন ধরা হতো। কিন্তু জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের ব্যবহার চালু হওয়ার পরও আগের নিয়মই মেনে চলতেন তাঁদের ‘ফুলস’ বা বোকা বলা হতো। তবে বছর শুরুর দিনের সঙ্গে ‘ফুল’ শব্দের যোগ এর আগেও পাওয়া যায় ইতিহাসে।
মধ্যযুগে ফ্রান্সে ১ জানুয়ারি ফিস্ট অফ ফুলস উদযাপন করা হতো। এই অনুষ্ঠানে খ্রীষ্টান রীতির অনুকরণে একজন নকরল পোপ নির্বাচিত করা হতো, গির্জার উচ্চ ও নিম্ম আধিকারিকরা নিজেদের কাজ বদল করতেন। সম্ভবত সাতুরনালিয়া পেগান ফেস্টিভালের অনুকরণেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো।
শোড়ষ শতকের পর থেকে আর ইতিহাসে এই অনুষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তার বদলে এপ্রিল ফুল’স ডে বা অল ফুল’স ডে নামের আরেকটি অনুষ্ঠানের প্রচলন শুরু হয়। ফ্রান্সে এই পার্টিকে বলা হয় পয়জন দি’এভরিল। যার মানে এপ্রিল ফিশ। বন্ধুদের পিছনে কাগজের তৈরি মাছ আটকে মজা করা হয়। স্কটল্যান্ডে এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় গকি ডে। কোকিলের আরেক নাম গকি। যা কিনা বোকামির প্রতীক। এখানে দোসরা এপ্রিল সবাই বন্ধুদের পিছনে কিক মি লেখা কাগজ সেঁটে মজা করেন। ব্রাজিলে পয়লা এপ্রিল দিয়া দা মেন্ত্রিয়া বা লাই ডে উদযাপন করা হয়। এই দিন সকলে তাঁদের প্রিয়জনদের বোকা বানান।
উত্তর ভারতে এপ্রিল মাসের ঠিক আগে হোলি উদযাপনও কিন্তু এই মজারই এক রকম উদযাপন। বন্ধুদের গায়ে রং গোলা ঠান্ডা জল ঢেলে তাঁদের বোকা বানানোও কিন্তু অনেকটা সেই রকমই ব্যাপার।
আরও পড়ুন: জানেন কোথা থেকে এল এই ‘ok’?