কর্নাটকে এ বার হুকা বার বন্ধ। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যে আর হুকা বার চালানো যাবে না, প্রকাশ্যে খাওয়া যাবে না হুকা, এমনই সিদ্ধান্ত নিল কর্নাটকের সরকার। ৭ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে জনস্বাস্থ্য এবং কমবয়সিদের সুরক্ষার জন্য কর্নাটকে সব রকম হুকা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷
এক্সের একটি পোস্টে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও জানিয়েছেন, হুকা কমবয়সিদের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করছে। তাই গোটা রাজ্যেই হুকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল সরকার। দীনেশ লেখেন, ‘‘এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে, আমরা সিগারেট এবং অন্যান্য তামাক পণ্য আইন সংশোধন করে কর্নাটকে হুকাপানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছি৷ সরকার আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।’
২০২৩ সালে কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে হুকা বারগুলির উপর বেশ কিছু বিধিনিষেষ আরোপ করা হয়। কর্নাটকে ২১ বছরের নীচে সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য কেনার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার।
আগে কর্নাটকে তামাকজাত দ্রব্য কেনার সর্বনিম্ন বৈধ বয়স ছিল ১৮ বছর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, ‘‘মন্দির ও স্কুল ছাড়াও হাসপাতালের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা হবে। কমবয়সিরা হুকা বারের প্রতি ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে। এই প্রবণতা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভাল নয়। প্রথমে তামাকজাত দ্রব্যের প্রতি আকর্ষণ, আর সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে মাদকাশক্তি। সরকার তাই সমস্যা মূলেই শেষ করে দেওয়ার জন্য শীঘ্রই তামাক পণ্য আইন সংশোধন করবে।’’