সত্তরের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। 'গুড্ডি', 'জ়ঞ্জির', 'শোলে', 'অভিমান', 'মিলি'— অজস্র হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। এক সময় পর্দার নায়ক অমিতাভ বচ্চনই হয়ে ওঠেন তাঁর জীবনের নায়ক।
বছর ৭৬-এর জয়া বচ্চন এবং তাঁর মেয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দা সম্প্রতি অংশ নিয়েছিলেন নব্যা নভেলি নন্দার একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে। অমিতাভ-জয়ার নাতনি ‘হোয়াট দ্য হেল নব্যা’ নামের সেই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সেখানেই মা এবং দিদিমার রূপচর্চার একাল-সেকাল নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন করেন নব্যা।
তাতেই জানা যায়, স্নানের আগে গায়ে নুন মাখেন জয়া এবং শ্বেতা। মা এবং দিদিমার এমন রূপচর্চার কথা শুনে বেশ অবাক সদ্য-তরুণী নব্যাও। তবে শ্বেতা জানান, সাদা নুন নয়, খনিজ মিশ্রিত সৈন্ধব লবণ গায়ে মাসাজ করেন তিনি। এতে ত্বক মসৃণ হয়, ধুলো-ময়লা, মৃত কোষ পরিষ্কার হয়।
খাবারে সৈন্ধব লবণ ব্যবহার হয়। বিভিন্ন খনিজে সমৃদ্ধ লবণ রান্নায় সাদা নুনের বদলে ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরাও। কিন্তু যা খাওয়া যায়, তা-দিয়ে কি ত্বকেরও যত্ন নেওয়া সম্ভব? চিকিৎসক শরিফা শ বলছেন, ত্বকের পরিচর্যায় সৈন্ধব নুন অত্যন্ত কার্যকর। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খনিজ লবণ প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর। এই নুন হালকা হাতে মাসাজ করে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে স্নায়ু শিথিল হয়, শরীরে আরামবোধ হয়।
তবে চিকিৎসক সতর্ক করছেন, সকলের জন্য এই টোটকা একই রকম কার্যকর নয়। খুব রুক্ষ বা যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর— তাঁরা সৈন্ধব লবণ ত্বকে ঘষাঘষি করলে হিতে বিপরীত হয়ে পারে। জায়গাটি লাল হয়ে যেতে পারে, জ্বালা দিতে পারে। তা ছাড়া ত্বকে কোনও সংক্রমণ থাকলে, এগজ়িমা, সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের অসুখেও নুন স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।