দুবাইয়ের হোটেলে বাথটাবে ডুবে মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। পোস্ট মর্টেম আর ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে তেমনই জানিয়েছে দুবাই পুলিশ। আমাদের দেশে বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর খবর অতীতে কখনও শুনেছেন কি না, মনে করতে পারছেন না কেউই। ফলে বিস্ময়, সন্দেহ বা রহস্যের ধাক্কাটা প্রথমে বেশ জোরালো ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে— এ দেশে না হলেও, জাপান বা আমেরিকার মতো দেশে বাথরুমে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, এমনকী বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা একেবারেই বিরল নয়।
জাপান আর আমেরিকায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে বা বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর হিসেব পাওয়া যাচ্ছে সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে। জাপানের জার্নাল অব জেনারেল অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিন-এর রিপোর্ট (মার্চ, ২০১৭) অনুযায়ী, সে দেশে বছরে ১৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় বাথরুমের মধ্যে দুর্ঘটনায়।
২০১৬-তে জাপানের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স এজেন্সি তাদের রিপোর্টে জানায়, তার আগের ১০ বছরে বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা সে দেশে ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাপানের কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স এজেন্সি-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃতদের ৯০ শতাংশেরই বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপানে বাথটাবের বেশি গভীরতা এবং ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়েও উষ্ণ জলে স্নানের অভ্যাস এই সমস্ত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পিছনে অন্যতম বড় কারণ।
বাথটাবে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ উল্লেখযোগ্য। ২০০৬-এর ইউএস ফেডেরাল মর্টালিটি ডেটা অনুযায়ী, বাথটাবে ডুবে বা বাথটাবের মধ্যে পড়ে গিয়ে প্রতিদিন অন্তত একজন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়।
২০০৬-এর ইউএস ফেডেরাল মর্টালিটি ডেটা অনুযায়ী, বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিকের বাথরুমে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী তাঁদের অত্যধিক মাদক সেবনের অভ্যাস।
২০১৫-তে ‘দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ইন আটলান্টা’র রিপোর্ট অনুযায়ী, বাথরুমে দুর্ঘটনায় পুরুষদের চেয়ে মহিলারাই বেশি আহত হন। মোট ঘটনার প্রায় ৭২% মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘটেছে।