—প্রতীকী চিত্র।
রাতে ফল খেতে নেই, ভরা পেটে ফল খেতে হয়, খালি পেটে ফল খেলে অ্যাসিডিটি হয় ইত্যাদি অনেক ধারণাই আমাদের মনে বাসা বেঁধে থাকে। জেনে নিন কখন, কোন ফল খাবেন? আর কী ভাবে খাবেন?
ফল খাওয়ার নিয়ম
পুষ্টিবিদ কোয়েল পালচৌধুরী বলছেন, “খালি পেটে ফল খেয়ে কোনও লাভ নেই। ফলের ফাইবার শরীরে লাগে না। আবার ভরা পেটেও ফল নয়। ফল খেতে হবে দুটো মিলের মাঝখানে। অর্থাৎ প্রাতরাশ আর মধ্যাহ্নভোজনের মাঝের কোনও সময়ে দুটো ফল খেতে পারেন।” ধরুন সকাল ৯টায় ব্রেকফাস্ট করলেন আর ১টায় লাঞ্চ করবেন। সে ক্ষেত্রে ১১টা নাগাদ দুটো ফল খেতে পারেন।
আর ফলের রস করে নয়, ফল চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কোয়েল। ফলের রস করে খেলে ফলের ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস সব নষ্ট হয়ে যায়। আর ফলে নুন, মশলা না দিয়ে এমনি খাওয়াই ভাল।
কার জন্য কোন ফল?
তবে কে কোন ফল খাবেন, সেই ভাগটা ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে।
রাতে ফল খাওয়া কি স্বাস্থ্যসম্মত?
অনেকেই ডিনারের পরে ফল খান। এমনকি কিছু ডিজ়ার্টেও ফলের ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে, অনেকেই বাড়িতে নানা রকম ফ্রুটস কাস্টার্ড খেয়ে থাকেন। রাতে ফল খাওয়ায় তেমন অসুবিধে নেই। কিন্তু কী ফল রাতে খাচ্ছেন, সেটা ভেবে বাছুন। চেরি জাতীয় ফল খেতেই পারেন। অন্য দিকে আনারস, কিউই, পেঁপে, কলা রাতে খাওয়া যায়। এতে হজমও ভাল হয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যারও মোকাবিলা করে। বাঙালি পরিবারে রাতে দুধ-কলা-রুটি খাওয়ার অভ্যেস অনেক বাড়িতেই রয়েছে। আবার তরমুজের মতো ফলও রাতে খেতে পারেন। এটা হাইড্রেশনে সহায়ক। তবে রাতে যে ফলই খান না কেন, তার পরিমাণ হতে হবে কম। রাতে ফল খাবেন মানেই বেশি পরিমাণে নয়।
যে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
অনেক ফলের গায়ে স্টিকার লাগানো থাকে। ফলটি কী ভাবে ফলানো হয়েছে, কোন দেশের, কোয়ালিটি গ্রেড, স্টোরেজ ইনস্ট্রাকশন লেখা থাকে সেখানে। তাই স্টিকার দেখেবুঝে ফল কিনুন। খুব চকচকে ফল কিনবেন না। অনেক ফলের গায়ে, বিশেষত আপেলের গায়ে মোমের প্রলেপ থাকে। তাই ফল ভাল করে ধুয়ে খান।