Excessive Yawning

ঘুম না পেলেও বার বার হাই ওঠে? কোন রোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে জানেন কি? শুনুন চিকিৎসকের পরামর্শ

সাধারণত স্বাভাবিক এবং নিরীহ মনে হলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাই তোলার অর্থ বেশ জটিল হতে পারে। কোনও শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে এটি। হার্টের রোগ থেকে শুরু করে মানসিক রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা হয় ঘটনাবিশেষে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৪
Share:
Is yawning too much sign for health related problems like iron deficiency

ঘন ঘন হাই তোলার কী কী কারণ হতে পারে, জানেন? ছবি: সংগৃহীত।

মানুষ কেন হাই তোলে জানেন? হাই তোলা খুবই সাধারণ বিষয়। আলাদা করে কখনও হাই তোলা নিয়ে ভাবার অবকাশ হয়নি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের হাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ।

Advertisement

হাই কেন তোলে মানুষ?

সাধারণত ঘুম পাওয়া অথবা একঘেয়ে লাগার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয় হাইকে। ঘুম পেলে অথবা শরীর ছেড়ে দিলে মস্তিষ্ক মানুষের শরীরকে সজাগ রাখার কাজ শুরু করে দেয়। তারই ফসল হাই তোলা। মস্ত এক হাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অনেকখানি বাতাস প্রবেশ করে। এ ভাবেই সেই অক্সিজেন মস্তিষ্কে পৌঁছোয়।

Advertisement

হাইয়ের সঙ্গে রোগের সম্পর্ক

খুব স্বাভাবিক এবং নিরীহ মনে হলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাই তোলার অর্থ বেশ জটিল হতে পারে। কোনও শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে এটি। হার্টের রোগ থেকে শুরু করে মানসিক রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা হয় ঘটনাবিশেষে। দিনে-রাতে সারা ক্ষণ বা ঘন ঘন হাই তুললেই কি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?

Is yawning too much sign for health related problems like iron deficiency

ঘন ঘন হাই তোলা রোধ করতে হলে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।

উত্তর দিচ্ছেন মুম্বইয়ের স্যর এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালের ইন্টার্নাল মেডিসিনের উপদেষ্টা দিব্যা গোপাল। তাঁর কথায়, ‘‘ঘন ঘন হাই তোলার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। ক্লান্তি বা ঘুমের অভাব থেকে শুরু করে স্নায়ুর রোগের ইঙ্গিত হতে পারে তা। কিন্তু কখন বেশি, কখন নয়, এটা এককথায় বোঝানো সম্ভব নয়। কারণ, ব্যক্তিবিশেষে এই মাপকাঠি পরিবর্তনশীল।’’

চিকিৎসক জানান, অন্যান্য উপসর্গ, যেমন অবসাদ, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরার পাশাপাশি যদি ঘন ঘন হাই ওঠে, তবে তা জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া উচিত।

কী কী কারণ থাকতে পারে ঘন ঘন হাই তোলার

ঘুমের অভাব, বিরক্তি বা ক্লান্তি, হৃদ্‌রোগ, স্নায়ুর রোগ, আয়রনের ঘাটতি ইত্যাদি কারণে অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। যদিও বিরল, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হাই তোলা মস্তিষ্কের টিউমারের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে মনে করা হয়। স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ফুসফুসের সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে।

আয়রনের ঘাটতির সঙ্গে হাই কী ভাবে সম্পর্কিত

রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য শরীরে সঠিক পরিমাণ আয়রনের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। কিন্তু যেই মুহূর্তে শরীরে আয়রনের অভাব ঘটে, অক্সিজেন ঠিকমতো সরবরাহ করতে পারে না শরীর। আর এই বার্তাই গিয়ে পৌঁছোয় মস্তিষ্কে। সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক হাই তুলে তুলে শরীরকে সঙ্কেত পাঠায়, আয়রনের পরিমাণ কমে গিয়েছে। হাই তোলার মাধ্যমে বেশ কিছুটা অক্সিজেন মস্তিষ্কে প্রবেশ করে।

ঘন ঘন হাই তোলা রোধ করতে কী করা উচিত

এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নেওয়া যায়। নিয়মিত ঘুমের রুটিন মেনে চলতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হওয়ার দরকার রোজ। এ ছাড়া শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করতে পালং শাক, আপেল খেতে হবে। এগুলির ফলে শরীরে আয়রন বৃদ্ধি হয়। অক্সিজেন সরবরাহ থেকে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement