প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন জন্মদিন পালনের স্মৃতি থাকে অনেকের। বছর চারেক বয়সের পর থেকে সে সব মুহূর্ত প্রায় অধিকাংশেরই মনে স্পষ্ট ভাবে ধরা থাকে। কিন্তু জন্মের সময়টি? তা কি কারও মনে থাকতে পারে? সেটিই তো জীবনের প্রথম মুহূর্ত। তা কি কারও ক্ষেত্রে প্রথম স্মরণীয় ঘটনাও হতে পারে?
স্মৃতিশক্তি নিয়ে নানা গবেষণা চলছে বিভিন্ন দেশে। তেমনই একটি দল এ সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যস্ত। ঠিক কোন বয়স থেকে স্মৃতিশক্তি মজবুত হতে থাকে, তা-ই বোঝার চেষ্টা চলছিল। বিজ্ঞানীদের একাংশের দাবি, ছ’মাস বয়সের আগের কোনও স্মৃতিই থাকে না বেশি দিন। কিন্তু তার আগের সময়টির কি কোনও প্রভাবই পড়ে না ব্যক্তির মনের উপর?
প্রতীকী ছবি।
‘লাইভসায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র। সেখানে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আড়াই বছর বয়সের আগের স্মৃতি বিশেষ ভাল ভাবে থাকে না। তাই বলে তার আগের কোনও ঘটনার প্রভাব মনের উপর পড়ে না, এমন নয়। তার দীর্ঘ প্রভাব থাকে। কিন্তু স্পষ্ট স্মৃতি থাকে না। ‘মেমোরি’ নামক আর একটি পত্রিকায় প্রকাশিত আর এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, এই পরিস্থিতিকে বলে ‘চাইল্ডহুড অ্যামনেশিয়া’। অর্থাৎ, শৈশবের প্রথম দিকের সময়ের কোনও স্মৃতি পরিষ্কার ভাবে থাকে না কারও মনে। ফলে জন্মের মুহূর্তটিও মনে থাকার কথা নয়।
কেন এমন হয়? গবেষকদের দাবি, বয়সের সঙ্গে একটু একটু করে মজবুত হয় স্মরণশক্তি। জন্মের পর থেকে কিছু স্মৃতি জমা হয়ে থাকে মনে। কিন্তু প্রথম দিকের স্মৃতি স্পষ্ট হয় না। মস্তিষ্কে যত নতুন কোষের জন্ম হয়, ততই পুরনো স্মৃতি অস্পষ্ট হতে থাকে। শৈশব এ ভাবেই কাটে। কৈশোর থেকে ভাল ভাবে স্মৃতিশক্তি জোর পায়।